Barak UpdatesHappeningsBreaking News
পাকিস্তানকে হারানোর কথা উঠতেই আনন্দে চোখ ছলছল করে গোপীকারঞ্জন, সুভাষচন্দ্রের
ওয়েটুবরাক, ২৮ অক্টোবরঃ ১৯৭১-র যুদ্ধে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সৈন্য আত্মসমর্পণ করেছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এত সৈন্যের আত্মসমর্পণ আর কোনও দেশে ঘটেনি।
আজ বৃহস্পতিবার স্বর্ণিল বিজয় বর্ষের এক অনুষ্ঠানে কথাগুলি বলছিলেন আসাম রাইফেলসের ২১ নং সেক্টরের ডিআইজি ব্রিগেডিয়ার অজয়কুমার শর্মা। সামনেই তখন দর্শকাসনে বসা গোপীকারঞ্জন শর্মা ও সুভাষচন্দ্র রাজবংশী। একজনের একটি পা নেই, আর একজনের এক হাত নেই। তবু আনন্দে তাদের চোখ ছলছল করে ওঠে।
কাছাড় জেলার কচুদরমের বাসিন্দা গোপীকারঞ্জনের তখন পোস্টিং ছিল জম্মুর পুঞ্চে। ১৯৭১-র যুদ্ধে পাকিস্তানি বোমায় তিনি জখম হন। ডাক্তাররা দেখেই বলেন, উরু পর্যন্ত কেটে ফেলতে হবে। কী আর করা। শেষপর্যন্ত সেটাই হলো।
উধারবন্দ এলাকার ঝাপিরবন্দের বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র রাজবংশীর ডান হাত উড়ে গিয়েছে ওই একই যুদ্ধে। তিনি কর্মরত ছিলেন পঞ্জাবের ফাজিলকায়। যুদ্ধশেষে উদ্ধার হওয়া মাইনগুলি নিষ্ক্রিয় করছিলেন। আচমকা একটি বিস্ফোরিত হয়। পরে সরকারি তরফেই তাঁর কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বর্ণিম বিজয় বর্ষের অনুষ্ঠানে তাঁদের দুইজনকে এ দিন বিশেষ সম্মান জানানো হয়। এ ছাড়াও সম্মানিত করা হয় প্রাক্তন সেনা কর্মী ও প্রয়াত সেনাকর্মীর পরিবারের সদস্যদের। ব্রিগেডিয়ার শর্মা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এমজিএআর-টুর কমান্ডিং অফিসার লেফটেনান্ট সুমিত রাস্তোগি। পরে শিলচর শহরের আসাম রাইফেলস মাঠে অস্ত্রশস্ত্রের প্রদর্শনীও হয়। এনসিসি ক্যাডেট সহ শহরের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ ঘুরে ঘুরে ওই প্রদর্শনী দেখেন। দেখেন ব্যান্ড পার্টির সুন্দর অনুষ্ঠানও।