Barak UpdatesHappeningsBreaking News
পতাকা উত্তোলনে রামানুজ গুপ্ত কলেজের রজত জয়ন্তীর বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু
ওয়ে টু বরাক, ১৪ নভেম্বর : জাতীয় পতাকা ও রামানুজ গুপ্ত কলেজের একাধিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সোমবার যাত্রা শুরু হল বর্ষব্যাপী রজত জয়ন্তী উৎসবের। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ২৫ বছরের যাত্রাপথকে কলেজ কর্তৃপক্ষ পেছন ফিরে দেখেছেন, একইসঙ্গে আগামী দিনের জন্যও নতুন শপথ গ্রহণ করে চলার অঙ্গীকার নিয়েছেন।
এদিন সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা সহ মোট ৬টি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। জাতীয় পতাকা, রামানুজ গুপ্ত মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল ট্রাস্টের পতাকা ও রজত জয়ন্তী উৎসবের পতাকা উত্তোলন করেন ট্রাস্টের সম্পাদক নন্দিতা গুপ্ত, রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজের ডিরেক্টর শ্রীমন্ত দত্ত ও শরদিন্দু ধর। এ দিন একইসঙ্গে রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজের পতাকা উত্তোলন করেন অধ্যক্ষ পূর্ণদীপ চন্দ। রামানুজ গুপ্ত ডিগ্রি কলেজের পতাকা উত্তোলন করেন অধ্যক্ষা অঞ্জনা ভট্টাচার্য ও দীপঙ্কর চন্দ। রামানুজ গুপ্ত বিদ্যামন্দিরের পতাকা উত্তোলন করেন অধ্যক্ষ দৃপ্তীমান বিশ্বাস। এরপর সকলে মিলে কলেজ সঙ্গীত গেয়েছেন এবং এর মাধ্যমেই বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয়।
এ দিন এই উদ্বোধনী পর্বে রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজের ছাত্র বৈভব ভট্টাচার্য নিজের আকাঁ প্রয়াত রামানুজ গুপ্তের এক পোট্রেট গুপ্ত পরিবারের হাতে তুলে দেন। পরিবারের হয়ে এটি গ্রহণ করেন ট্রাস্টের সভাপতি তথা প্রয়াত স্বনামধন্য চিকিতসক ডাঃ রাহুল গুপ্তের ছেলে রুদ্রনারায়ণ গুপ্ত, সম্পাদক তথা রাহুল গুপ্তের স্ত্রী নন্দিতা গুপ্ত, দুই কন্যা বৈশালী ঘোষ ও বিশাখা পাণ্ডে এবং জামাতা নরেন্দ্র পাণ্ডে।
পরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ডিরেক্টর শ্রীমন্ত দত্ত বলেন, ব্যতিক্রমী চিন্তাভাবনা নিয়ে যে এই কলেজ যাত্রা শুরু করেছিল, তা প্রথম দিকে মানুষকে বোঝাতে অনেক কষ্ট হয়েছে। ব্যতিক্রমী এই যাত্রা যে সফল হয়েছে, তার প্রমাণ কলেজের এই ২৫ বছর উদযাপন। তিনি আরও বলেন, প্রয়াত ডাঃ রাহুল গুপ্ত সে দিন স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেই আজ শিক্ষাক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন এসেছে। রামানুজ কলেজের পর আরও এমন কলেজ শিলচরে স্থাপিত হয়েছে।
প্রয়াত চিকিৎসকের স্বপ্নকে দীর্ঘদিন ধরে লালন করে আসা তাঁর সুযোগ্য পুত্র রুদ্রনারায়ণ গুপ্ত এ দিন বলেন, আজকের দিনটি মূলত স্বপ্নপূরণের দিন। দাদা রামানুজ সবসময় স্বপ্ন দেখতেন, কীভাবে শিক্ষার উন্নয়ন করা যায়। তাঁর মৃত্যুর পর বাবা সেই স্বপ্নকেই বাস্তব রূপ দিয়েছেন। ছেলেকে হারিয়ে এক কঠিন বাস্তবের মধ্যে পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়া ও ছেলের স্মৃতিকে ধরে রাখতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি।
রুদ্রবাবু রজত জয়ন্তী উপলক্ষে কলেজের সব বর্তমান ও পুরনো শিক্ষক ও ছাত্রদের অভিনন্দন জানান। আবেগবিহ্বল হয়ে তিনি বলেন, আজকের এই বিশেষ দিনটির কথা ভেবে বাবার অস্থি এখনও বিসর্জন করেননি। তাদের কাছে এই অস্থি রাখার অর্থ, যেন বাবা সামনে থেকেই তাঁর স্বপ্নের কলেজের ২৫ বছর পূর্তি দেখছেন। রজত জয়ন্তী উৎসব শেষ হলেই অস্থি বিসর্জনের মাধ্যমে বাবার আত্মাকে চিরবিদায় জানাবেন।