Barak UpdatesHappeningsBreaking News
নেতাজি বক্তৃতায় প্রথম রামানুজের সৌম্যজ্যোতি ভট্টাচার্য, এর পরে নভেলি-রাজবীর
ওয়েটুবরাক, ২৫ এপ্রিলঃ শিলচর নেতাজি মূর্তি নবনির্মাণ ও স্থাপনা কমিটি আয়োজিত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর অবদান শীর্ষক বক্তৃতা প্রতিয়োগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজের ছাত্র সৌম্যজ্যোতি ভট্টাচার্য। দ্বিতীয় দিল্লি পাবলিক স্কুলের নভেলি নাথ এবং তৃতীয় হয়েছে ডন বস্কো স্কুলের রাজবীর দাস। মোট ২৮ প্রতিযোগী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। দুই-চারজনের কথা বাদ দিলে উচ্চ মানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুভাষচন্দ্র বসুর প্রথম শিলচর আগমনের ৮৫ বছর পূর্তি উদযাপনে ছাত্রছাত্রীদের বক্তৃতা প্রতিযোগিতাই প্রধান আকর্ষণ। কমিটিও একে আকর্ষণীয় করে তুলতে চেষ্টার ত্রুটি করেনি। সকল প্রতিযোগীদের নেতাজি বিষয়ক পুস্তক উপহার দিয়েছে। সঙ্গে একহাজার টাকা শান্ত্বনা পুরস্কার। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী পেয়েছে ক্রমে পাঁচ হাজার, তিন হাজার ও দুই হাজার টাকা।
উদ্বোধন, মঞ্চসজ্জা সহ বিভিন্ন বিষয় ছিল চমকপ্রদ। মঞ্চে নয়, গান্ধীভবনের প্রবেশমুখে হয়েছে উদ্বোধনী পর্ব। প্রদীপ জ্বালিয়ে, নেতাজির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রাজীবমোহন পন্থ। সঙ্গে ছিলেন বিশিষ্ট কবি-সাংবাদিক অতীন দাশ ও সাময়িক প্রসঙ্গের কর্ণধার তৈমুর রাজা চৌধুরী। সে সময় চলছিল উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি। আয়োজকদের মধ্যমণি শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী পরে সবাইকে মঞ্চে নিয়ে আসেন। ডিজিটাল ব্যাকড্রপে তখন উঠে আসছিল নেতাজির নানা ছবি। বক্তা সহ মঞ্চের বিভিন্ন অংশ উঠে আসছিল জায়েন্ট স্ক্রিনে। “কদম কদম বাড়ায়ে যা” সঙ্গীত পরিবেশন করে আজকের প্রজন্ম থিয়েটারের শিল্পীবৃন্দ৷
বিচারক নির্বাচনেও অনুষ্ঠানের মান বাড়িয়ে দিয়েছেন আয়োজকরা। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বরিষ্ঠ অধ্যাপক মানবেন্দ্র দত্তচৌধুরী, উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষা ড. দেবশ্রী দত্ত এবং পূর্ত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নীহাররঞ্জন পালকে প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকদের আন্তরিকতায় শিলচরবাসীও বেশ সাড়া দিয়েছেন। গান্ধীভবনে দাঁড়িয়ে থেকে অনুষ্ঠান উপভোগ করেছেন প্রচুর বিশিষ্টজন।
সামান্য দেরিতে এলেও তথ্যসমৃদ্ধ বক্তৃতা করেছেন শিলচরের সাংসদ ডা. রাজদীপ রায়। তিনি ঘোষণা করেন, তাঁরা তিন ভাই মিলে মূর্তি নির্মাণে পাঁচ লক্ষ টাকা দেবেন। এ দিন অনুষ্ঠান মঞ্চেই দশটি চেক জমা পড়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নীলাভ মৃদুল মজুমদার পঁচিশ হাজার টাকা, রামানুজ ডিগ্রি কলেজ নয় হাজার, রামানুজ বিদ্যামন্দির একুশ হাজার, রামানুজ জুনিয়র কলেজ একুশ হাজার, সঞ্জয় রায় পঞ্চাশ হাজার, এনপি অ্যাসোসিয়েটসের নিপ্টু পাল পঞ্চাশ হাজার, দেবপ্রসাদ রায় ও স্বাতী রায় দশ হাজার, ওসোয়াল ট্রেডার্সের জেটমল জৈন দশ হাজার, এবিসিআই ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বুধমল বৈদ একান্ন হাজার, কল্যাণ অ্যান্ড সন্স দশ হাজার, মনোজকুমার বৈদ অ্যান্ড ব্রাদার্স পঞ্চাশ হাজার টাকা।