NE UpdatesHappeningsBreaking News
নেগেটিভ হলেও করোনাই কেড়ে নিল গগৈকে
২৩ নভেম্বর: প্রায় আড়াই মাস করোনা ও অন্যান্য বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। গত কয়েক দিন ধরেই একে একে তাঁর বিভিন্ন অঙ্গ বিকল হয়ে পড়ে। তিনদিন ধরে ছিলেন মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশনে।
গত ২৬ আগস্ট গগৈর করোনা ধরা পড়েছিল। ভর্তি হন গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে। মেডিক্যাল বোর্ড তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছিল৷ মহানবমীর দিনে নেগেটিভ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। কিন্তু কয়েক দিন পরেই ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ হাসপাতালে আনা হয় তাঁকে। বহু চেষ্টার পরও এ বার আর তাঁকে আর বাড়ি ফেরানো যায়নি৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নেগেটিভ হলেও করোনা তাঁর শরীরে বেশ প্রভাব রেখে যায়৷ সেই প্রভাবমুক্ত হতে পারেননি তিনি৷
মৃত্যু সংবাদ পেতেই দলমত নির্বিশেষে জনপ্রতিনিধিদের ভিড় জমে হাসপাতালে। চলতে থাকে স্মৃতিচারণ৷ মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে ডিব্রুগড় থেকে ছুটে আসেন৷ মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে শেষশ্রদ্ধা জানান৷
হাসপাতালে গিয়ে পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন এআইইউডিএফ সভাপতি বদরুদ্দিন আজমল ১৯৩৪ সালে যোরহাটের রাঙাজান চা বাগানে জন্মগ্রহণ করেন তরুণ গগৈ। বাবা ছিলেন রাঙাজান বাগানের চিকিৎসক। যোরহাটের জেবি কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পরে তিনি গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি করেন।
১৯৭১ সালে প্রথমবার যোরহাট থেকে সাংসদ হন গগৈ। ১৯৭৬ সালে হন এআইসিসির যুগ্ম সম্পাদক। ১৯৮৫-৯০ ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। ১৯৯১ সালে নরসিংহ রাওয়ের আমলে তিনি ক্যাবিনেট মন্ত্রী হয়েছিলেন।
মূলত তরুণ গগৈয়ের সময়কালেই অশান্ত অসমে শান্তি ফিরে এসেছিল৷ আলফার একটি বড় অংশ শান্তি আলোচনায় যোগ দিয়েছিল৷ এনডিএফবির দুটি শাখা তাঁর আমলেই শান্তি আলোচনায় যোগ দেয়। ডিমাসা, কার্বি, আদিবাসী জঙ্গি সংগঠনও আগের শক্তি হারায়।
Also Read: End of an era, Former Assam CM Tarun Gogoi passes away…..তরুণ গগৈ আর নেই