Barak UpdatesHappeningsBreaking News

নীহার ঠাকুরের ১৫ আগস্টের লালারস রিপোর্ট খুঁজেই পেল না মেডিক্যাল!

রাজদীপ রায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েও ক্ষোভ ঝাড়লেন প্রাক্তন পুরপ্রধান

২৯ আগস্টঃ সাংসদ ডা. রাজদীপ রায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেও শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অব্যবস্থা নিয়ে সরব হলেন প্রবীণ বিজেপি নেতা নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর। তাঁর ১৫ আগস্ট তারিখের লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টই খুঁজে পাওয়া যায়নি মেডিক্যালের কোথাও। ফলে ওই দিনের রিপোর্টে তাঁর স্ত্রী-নাতি নেগেটিভ হলেও তাকে অপেক্ষা করতে হয় আরও তিনদিন। ১৭ তারিখে ফের তাঁর লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়, সেদিন নেগেটিভ আসার পর ১৮ তারিখে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। ১৬ তারিখে তাঁর নাতিকে বাড়ি পাঠানো হলেও ‘নেগেটিভ’ স্ত্রী থেকে যান নীহারবাবুর সঙ্গেই। ১৫ তারিখের রিপোর্ট পেলে হয়তো তাতে নেগেটিভ হয়ে সবাই মিলে একইসঙ্গে ১৬ তারিখেই বাড়ি ফিরতে পারতেন।

প্রাক্তন পুরপ্রধান নীহারবাবু জানান, এর দরুন তাঁর ডিসচার্জ সার্টিফিকেটে ১৭ তারিখের লালারস সংগ্রহ ও রিপোর্টের উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু ১৫ তারিখের রিপোর্টের ঘর ফাঁকা।

তিনি আতঙ্কিত, কেবিনে থাকা অবস্থায় কারও অবস্থার অবনতি ঘটলে কী হবে, তা ভেবে। নার্সদের দেখা মেলে না। আশেপাশে নার্সরুমও নেই। কেউ যে তাদের খবর দেবেন, সে উপায় নেই। বিজেপির প্রথম সারির নেতা হলেও এ ব্যাপারে নীহারবাবু বলেন, ”সংবাদমাধ্যমের মারফতে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষকে আমার অনুরোধ, কেউ হঠাৎ করে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে একটা ইমার্জেন্সি খবর পাঠানো যায়, এর ব্যবস্থা করুন।”

সাংসদ রাজদীপ রায় গত সপ্তাহেই বলেছেন, মেডিক্যাল কলেজে ফাইভ স্টার হোটেলের খাবার আশা করলে হবে না। সাফসুতরোর ব্যাপারে নাগরিকদেরই দায়িত্ব নিতে হবে। সে প্রসঙ্গ না টানলেও নীহারবাবু বলেন, প্রথমদিন আমাকে যে খাবার দেওয়া হয়েছিল, তা খাওয়ার অযোগ্য। তাই মেডিক্যালের খাওয়া আমি বাদ দিই। কত টাটকা খাবার দেওয়া হয়, এটা বড় প্রশ্ন। এর ওপর নিরামিষ যদি ডালে ভেজা ভাত হয়, তাহলে অসুবিধে হওয়ারই কথা।

স্বচ্ছতার জায়গায়ও তাঁর অভিজ্ঞতা যন্ত্রণাদায়ক। বললেন, কেবিনের শৌচাগারে যাওয়ার উপায় ছিল না। তাই আমি ও আমার স্ত্রী মিলে একে ব্যবহারযোগ্য করি। আর ১২দিনের কেবিনবাসে একদিনও বিছানার চাদর বা বালিশের ঢাকনা বদলানো হয়নি।

কাউকে কিছু বললেন না? দুঁদে আইনজীবী নীহার ঠাকুর বলেন, “জলে থেকে কুমীরের সঙ্গে লড়াই করা যায় না।”

এ সব তাঁর কেবিনের অভিজ্ঞতা। সেখান থেকেই জেনারেল ওয়ার্ডের অবস্থা বুঝে নিতে কষ্ট হয়নি। বললেন, “আমি খবর নিয়ে দেখেছি, নতুন করে সাফাই কর্মী নিয়োগের পরও জেনারেল ওয়ার্ডের শৌচাগারের অবস্থা খুব খারাপ।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker