NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
নিজের অপরাধ ঢাকতে মুখ্যমন্ত্রী আসাম চুক্তির কথা বললেন, ক্ষুব্ধ সিআরপিসিসি
২৮ ডিসেম্বর: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে উপস্থিত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পেছনে আসাম আন্দোলনের অবদান রয়েছে বলে যে মন্তব্য করেছেন, নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটি, আসামের কাছাড় জেলা কমিটির পক্ষ থেকে এর তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। তাদের কথায়, আসাম আন্দোলন রাজ্যের ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার দাবিতে গড়ে উঠেছিল। এই আন্দোলন আসামে বসবাসকারী ভাষিক সংখ্যালঘুদের জীবন ও সম্পত্তি ধ্বংস করেছিল। উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী শক্তির নেতৃত্বে গড়ে ওঠা এই আন্দোলনের ফলে গোটা রাজ্যের স্বাভাবিক পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছিল৷ নেলি, গহপুর, ছাগলমোয়া ইত্যাদি স্থানে গণহত্যা সংগঠিত হয়েছিল৷ ১৯৮৫ সালের ১৫ আগস্ট আন্দোলনকারীদের সাথে সরকারের যে ‘আসাম চুক্তি’ হয়েছিল তাতে বরাক উপত্যকার জনগণের কোনও দাবি স্থান পায়নি।
১৯৮৯ সালে ‘আসু’ বরাক উপত্যকায় উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী মনোভাব থেকে বরাক উপত্যকায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের বিরোধিতা করে। বরাক উপত্যকার জনগণের দাবি মেনে ১৯৯৪ সালে যখন কেন্দ্র সরকার শিলচরে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিন ধার্য করে ঠিক তখনই ‘আসু’ এর বিরোধিতা করেছিল যার ফলশ্রুতিতে তেজপুরে কেন্দ্র সরকার বাধ্য হয়ে আরেকটি কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে। সিআরপিসিসির অভিযোগ, আসাম চুক্তি ভাষিক সংখ্যালঘুদের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার লক্ষ্যে তৈরি হয়েছিল। বরাক উপত্যকার উন্নয়নের তীব্র বিরোধী ‘আসু’র তদানীন্তন নেতা বর্তমান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের অপরাধকে ঢেকে দিতে এরকম মন্তব্য করেছেন। বরাক উপত্যকার জনগণের মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার পেছনে রয়েছে এখানকার জনগণের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের ইতিহাস। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য বরাকের ভাষা আন্দোলনের শহিদদের আত্মবলিদানের ইতিহাসকে বিকৃত করার জঘন্য প্রয়াস ছাড়া কিছুই নয়। সিআরপিসিসি মুখ্যমন্ত্রীকে এ ধরনের মন্তব্য ভবিষ্যতে না করতে সতর্ক করে, পাশাপাশি বরাক উপত্যকার তিন জেলার সচেতন নাগরিকদের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ সাব্যস্ত করতে অনুরোধ জানিয়েছে৷