Barak UpdatesHappeningsBreaking News
নাচে-গানে-কবিতায় আর আকস্মিক বক্তৃতায় জমজমাট বর্ষবরণ বরাক বঙ্গের
ওয়েটুবরাক, ১৮ এপ্রিলঃ কেন্দ্রীয় সমিতির সহসভাপতি ইমাদউদ্দিন বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক গৌতমপ্রসাদ দত্ত, সাহিত্য সম্পাদক দীপক সেনগুপ্ত থেকে শুরু করে ডা. অজিত ভট্টাচার্য, ড. বিশ্বতোষ চৌধুরী, অমিত সিকিদার, বকুলচন্দ্র নাথ, সুশান্ত সেন, দেবলীনা রায় —বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ছোট-বড় সব বক্তার জন্য সময় নির্দিষ্ট ছিল এক মিনিট। ওই সময়সীমাতেই সবাই বলে গিয়েছেন, আত্মপরিচয় বিস্মৃতি নয়, নিজের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-পরম্পরাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, এ-ই হোক নববর্ষের দৃঢ় অঙ্গীকার। বাঙালিয়ানা ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন শক্তি মাঠে সক্রিয় রয়েছে। তাদের মোকাবিলা করেই সামনের দিকে এগোতে হবে বলে মন্তব্য করেন সংগঠনের কাছাড় জেলা সভাপতি সঞ্জীব দেবলস্কর এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সংস্কৃতি সম্পাদক সব্যসাচী রুদ্র গুপ্ত। জাতীয় ব্যায়াম বিদ্যালয় উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক ভাস্কর দত্ত চার বছর আগেও পুরসভার উদ্যোগে তাঁরা যে নববর্ষের সকালে কুচকাওয়াজের অনুষ্ঠান করতেন এবং চারবছর ধরে বন্ধ রয়েছে, সে ব্যাপারে আক্ষেপ ব্যক্ত করে ওই ধরনের কেন্দ্রীয় নববর্ষ উদযাপনের উদ্যোগ নিতে বরাক বঙ্গকে অনুরোধ জানান।
দেবায়ন দে ও প্রাঞ্জল পালের তবলা লহরার মধ্য দিয়ে নববর্ষের সকালে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। আঞ্চলিক সমিতির শিল্পীরা উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন। গানে গানে অনুষ্ঠানকে মাতিয়ে রাখেন শর্মিষ্ঠা চাকি, নিবেদিতা সেনগুপ্ত, মীরা দেবরায়, তাপসী বণিক, অনিল পাল, রোহিতাশ্ব চক্রবর্তী, অরুন্ধতি ভট্টাচার্য, হৃষিকেশ চক্রবর্তী ও সব্যসাচী পুরকায়স্থ। সমবেত সঙ্গীত শোনান রবিজুঁই সঙ্গীত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বরাক বঙ্গের চার সদস্য সঞ্জয় দেবলস্কর, তাপসী দত্ত, নিবেদিতা সেনগুপ্ত এবং বাপী রায়ও সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেন। শিল্পীদের সঙ্গে তবলায় ছিলেন অনুপম মণ্ডল।
আকর্ষণীয় ছিল এক মিনিটের আকস্মিক বক্তৃতা৷ তাতে অন্যান্যদের মধ্যে অংশ নেন সুজন দত্ত, বিনায়ক চৌধুরী, সত্যরঞ্জন রায়, সুজাতা বণিক প্রমুখ৷
আবৃত্তি পরিবেশন করেন দেবযানী ভট্টাচার্য, শিল্পী ভট্টাচার্য, স্বাগতা চক্রবর্তী, বলরাম দে এবং দুই শিশু আবৃত্তিকার সৃজা বণিক ও শুভমিতা রায়চৌধুরী। কবি সপ্তমিতা নাথ স্বরচিত কবিতা পড়ে শোনান। দেবস্মিতা বিশ্বাস ও নবনীতা দেবের একক নৃত্য অনুষ্ঠানকে বিশেষ উপভোগ্য করে তোলে। তিনটি সমবেত নৃত্য পরিবেশিত হয়। শিল্পীরা অর্সিতা বরা, মোনালিসা চন্দ ও অদ্রিজা সাধুখা। প্রিয়াংশী কর্মকার, আয়ুষী রায়, শাশ্বতী ঘোষ ও হর্ষিতা রায়। রিতিকা দাস, আস্তিকা মণ্ডল ও দীপশিখা দাস।
সবশেষে শিপ্রা পুরকায়স্থ ও নবনীতা দেবের পরিচালনায় ধামাইল নৃত্য নববর্ষের অনুষ্ঠানকে আনন্দে মুখরিত করে তোলে। ধামাইলের অন্যান্য শিল্পীরা হলেন তনুপ্রিয়া গোস্বামী, তানিয়া সেন, অনামিকা চৌধুরী, অনুষ্কা দাস ও সুনয়না পাল। বঙ্গভবনের প্রবেশমুখে দেবস্মিতা বিশ্বাস ও শুভ চক্রবর্তীর আলপনা সকলের প্রশংসা কুড়ায়।