Barak UpdatesHappeningsBreaking News
নাগরিক চলাচল স্বাভাবিক রাখার দাবিতে রাঙ্গিরখাড়িতে প্রতিবাদী সভা
২৬ আগস্ট: নাগরিকদের স্বাভাবিক চলাচলের উপর জেলা প্রশাসনের আরোপিত বিধিনিষেধ বা অঘোষিত লকডাউনের প্রতিবাদে বুধবার বিকালে রাঙ্গিরখাড়ি শহিদ বেদীর সামনে এক প্রতিবাদী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তারা অপ্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান৷ শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসার উন্নতি সাধন এবং আইসিইউ বেডের সংখ্যা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন তাঁরা৷ এ ছাড়া, কোভিড ফ্রন্ট লাইন কর্মী হিসাবে সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের ন্যায্য বেতন, সামাজিক সুরক্ষা ও চাকরির নিশ্চয়তা প্রদান, বেসরকারি নার্সিং হোম অধিগ্রহণ করে কোভিড রোগী এবং অন্যান্য রোগের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য অডিও-ভিডিওর মাধ্যমে ব্যাপক গণপ্রচারের ব্যবস্থা করা, সকল প্রকার দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান৷
সমাবেশে উপস্থিত ব্যক্তিদের মতে, বর্তমানে জেলার নাগরিকরা এমনিতেই দুর্দশার শিকার। করোনার ক্রমবর্ধমান প্রকোপ বৃদ্ধির পাশাপাশি দারিদ্র্য এবং দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ফলে এমনিতেই মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। এই অবস্থায় যেখানে প্রশাসন এবং জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা দরকার ছিল তা হয়নি। এর উপরে নাগরিকদের উপর নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন৷ লকডাউন করোনা সমস্যার সমাধান নয়, তা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। বরং তা এক শ্রেণির মানুষের কাছে মুনাফা অর্জনের হাতিয়ার হয়ে ওঠে, তাও জণগণ প্রত্যক্ষ করছেন।
লকডাউন শুরু হওয়ার আগেই দুদিন ধরে জিনিষপত্রের দাম বেড়ে গেছে। লকডাউনের সময়ে তা যে মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই সমাবেশ থেকে এই অতিরিক্ত বিধিনিষেধ অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি ওঠে। করোনা রোধ করতে হলে স্বাস্থ্য বিভাগের উন্নতি করা জরুরি। এতো মাসেও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলির কোনও উন্নতি হয়নি৷ উল্টে শিলচর মেডিক্যাল হাসপাতালে নানা রকম অব্যবস্থা ও অনিয়মের অভিযোগ রোজই সামনে আসছে। শিলচরে একটি করোনা হাসপাতাল স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তা এখন বিশ বাঁও জলে। সমাবেশে বিভিন্ন দাবিতে মুহূর্মুহূ শ্লোগানের পাশাপাশি গানের মধ্য দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। বৃষ্টির জন্য প্রস্তাবিত মিছিল করা সম্ভব না হলেও গোটা সমাবেশ ছিলো প্রতিবাদমুখর।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বজিত দাস, জয়দীপ ভট্টাচার্য, হীরা পাল, সুব্রত রায়, অরূপ বৈশ্য, স্নিগ্ধা নাথ, আদিমা মজুমদার, মধুলিকা সোম, প্রজ্ঞা অন্বেসা, দেবস্মিতা দাস, টুপুর দাস, এদীব ইমন, অগ্নিস্বর সিকিদার, হিয়া দাস, মানস দাস, মৃণালকান্তি সোম, নীলু দাস, অপু সূত্রধর, প্রদীপ নাথ, অরিন্দম দেব প্রমুখ।