Barak UpdatesHappeningsBreaking News
নতুন প্রজন্ম যেন শিলচর ছেড়ে না যায়, লিখেছেন সৌমিত্র শংকর চৌধুরী
//সৌমিত্র শংকর চৌধুরী//
শিলচরের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের শিলচরে ধরে রাখতে হলে শিলচরকে সর্বক্ষেত্রে স্বনির্ভর করে তুলতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, আইটি, বাণিজ্য, ক্রীড়া, সংস্কৃতি প্রভৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রে শিলচর হোক স্বনির্ভর। বিভিন্ন ক্ষেত্রে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে প্রচুর প্রচুর। আমাদের ছেলেমেয়েরা বাইরে গিয়ে সোনা ফলাচ্ছে, তাদের জন্য শিলচরেই উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে উপযুক্ত কর্মসংস্থান করতে পারলে তারা তো শিলচরেই সোনা ফলাবে। প্রত্যেক পুজোয় ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত বাড়িঘরে পাড়ায় অনেক ভালো ভালো ছেলেমেয়েদের দেখি৷ একাদশী থেকে তাদের আর দেখতে পাই না। আমার মন চায়, ৩৬৫ দিন তাদের শিলচরে দেখি। কোভিড পরবর্তীতে অনেক ভালো ভালো ছেলেমেয়েরা কিন্তু রয়ে গেছেন মাতৃভূমিতে, বিভিন্ন কারণে৷ এখনই সুযোগ, সরকার এবং আমরা সবাই যদি তাদেরকে উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করে দিতে পারি এবং কর্মসংস্থান দিতে পারি, শিলচর কিন্তু পেয়ে যাবে একদল নতুন ছেলেমেয়ে৷ স্থায়ীভাবে শিলচরে থাকবে তারা৷ তাদের দেখে অনেক ছেলেমেয়ে ফিরে আসবেন নিজেদের শিলচরে। মাঝেমধ্যে মনে হয়, কোভিড পিরিয়ডে যে ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম শুরু হয়েছিল চারিদিকে, এই কনসেপ্টটা যদি বিস্তৃতভাবে চালু থাকে, তাহলে অন্ততপক্ষে বাড়িতে বসেই ছেলেটি অনেক দূরের কর্পোরেট অফিসের কাজটি করতে পারবে, বৃদ্ধ মা-বাবা ছেলের গায়ের গন্ধ পাবেন। ছোটবেলার পাড়া তাকে দেখতে পাবে মাঝেমধ্যে। বৃদ্ধ মা-বাবাদের বেশিদিন ভালো লাগে না বাইরে থাকতে, ফিরে আসেন নিজের শিলচরে৷ কিছুদিন পর আবার মন টানে ছেলের জন্য, এভাবেই চলে দিনের পর দিন। ছিন্নমূল মন নিয়ে কত আর ফিরবো ! যাবার পালা সাঙ্গ করে, ফিরে আসুক এবার ঘরে ফেরার পালা, এমনটাই স্বপ্ন দেখে আমার মন। ব্যক্তিগতভাবে আমার কোনও ক্ষমতা নেই কিছু করার৷ তাই শুধু লিখি আর বন্ধুদের নিয়ে মেমোরেন্ডাম হাতে নিয়ে ফিরি এ ঘর ও ঘর, যদি কিছু করতে পারি।
শিলচর কোনও দিন বৃদ্ধাশ্রম হোক ভাবতে কষ্ট হয়। লাল নীল সবুজ নতুন নতুন ফুল ফলের বাগান রূপে দেখতে চাই শিলচরকে।
নতুন এবং প্রবীণের আদর্শ বাসভূমি হয়ে থাকুক, আমাদের শিলচর, এই স্বপ্ন দেখি।