NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
ধর্ষিতারা উপজাতি দুই বোন, ধরা পড়ল দুষ্কৃতীদের সবাই!
১৫ নভেম্বর: নিলামবাজারে যে দুই তরুণী গণধর্ষণের শিকার হলেন তাঁরা উত্তর ত্রিপুরার এক উপজাতি পরিবারের দুই বোন৷ মা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন৷ তাঁকে দেখে বাড়ি ফেরার পথেই ঘটে এই ঘটনা৷ গাড়িচালক আরও ৫ যুবককে সঙ্গে নিয়ে তাদের ধর্ষণ করে৷ পুলিশ জানিয়েছে, ৬ জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃতরা হল, আহাদ উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, সুমন আলি, সামসুল উদ্দিন, আবু বক্কর ও আমির আলি৷ নিলামবাজারে যে নির্মীয়মান দালানবাড়িতে ঘটনা ঘটে, ওই বাড়ি নির্মাণের ম্যানেজার৷ আনোয়ার ও সুমনের বাড়ি ত্রিপুরায়৷ আবু ও আমির নিলামবাজারের থামুয়ার বাসিন্দা৷ সামসুলের বাড়ি একই থানা এলাকার নলুয়াতে৷
থানায় এজাহার দিয়ে দুই বোন জানিয়েছিলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তারা শিলচর থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করেছিলেন৷ উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগরে নিয়ে পৌঁছানোর কথা৷ রাত ১২টা নাগাদ করিমগঞ্জ জেলার চেরাগিতে এক ধাবায় খাওয়াদাওয়া করেন৷ সেখানে গাড়িচালকের সঙ্গে দুই যুবক এসে যোগ হয়৷ এরা সামনের আসনে বসে৷ পরে ফাঁড়িপথে দ্রুত পৌঁছানোর কথা বলে গাড়ি ঘুরিয়ে চালক নিলামবাজারে চলে আসে৷ সেখানে দাঁড়িয়ে ছিল আরও ৩ যুবক৷ জোর করে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে ঢোকানো হয় এক নির্মীয়মান বহুতল দালানবাড়িতে৷ দুই তলায় দুইজনকে নিয়ে দুষ্কৃতীরা গণধর্ষণ করে৷ রাতেই তাদের সেখান থেকে বের করে দেয়৷ কেড়ে নেয় তাদের মোবাইল, টাকাপয়সা৷
যুবতীরা জানান, পরে এক ট্রাকচালকের সহায়তায় বাজারিছড়া থানায় পৌঁছান এবং এফআইআর দায়ের করেন৷ ঘটনাস্থল পাথারকান্দি থানার অধীনে হওয়ায় তাদের সেখানে পাঠানো হয়৷ পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহাদ উদ্দিনকে গ্রেফতার করে৷ যুবতীরা তাকে ধর্ষণে জড়িত বলে শনাক্ত করেন৷ তাকে জেরা করে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয় আনোয়ার হোসেন ও সুমন আলিকে৷ রবিবার ধরে আনা হয় সামসুল উদ্দিন, আবু বক্কর ও আমির আলিকে৷