Barak UpdatesBreaking NewsFeature Story
দ্বিজেন্দ্র-ডলি ট্রাস্টের পিঠে প্রতিযোগিতায় ৪৪ প্রতিযোগী
২০ জানুয়ারি: ৮৪ বছরের অর্চনা দাস ক্ষীরের মালপোয়া, নারকেলের সন্দেশ এবং পুলি পিঠা নিয়ে হাজির হলেন প্রেমতলা জগৎকুটিরে৷ অংশ নিলেন পিঠে তৈরির প্রতিযোগিতায়৷ ৩ বছরের প্রাঞ্জলি সেনগুপ্তের মা বললেন, মেয়ের আগ্রহেই প্রতিযোগিতায় যোগদান৷ শিশু কি বৃদ্ধা, সবাই সারা বছর অপেক্ষায় থাকেন দ্বিজেন্দ্র-ডলি মেমোরিয়াল ট্রাস্টের পিঠে-সন্দেশ-ডালি প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার জন্য৷ নইলে কী আর ৪৪ প্রতিযোগী অংশ নেন!
প্রতি বছর প্রতিযোগিতার মান বেড়ে চলেছে৷ সাধারণ পিঠাপুলি এখন আর হিসেবেই আসে না৷ ফলে লড়াই চলে উদ্ভাবনী শক্তিরও৷
প্রতিযোগিতার পঞ্চম বর্ষে কেউ আনলেন কলাগাছে পাটিসাপটা, কেউ বানালেন ডিম ও মুলার পিঠায় ছোট পরিবার, সুখী পরিবার৷ এসেছে পুতুল ঘিরে কালারড পাটিসাপটা, নারকেলের সন্দেশে কড়াই, দা ইত্যাদি৷ ফটোফ্রেম, গাজরের পাটিসাপটা, ব্রেডের পিঠা, ক্ষীরের সন্দেশ দিয়ে গোলাপ বাগান আরও কত কী!
রবিবার সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. বিভাসরঞ্জন চৌধুরী৷ সঙ্গে ছিলেন বরাক উপত্যকা বঙ্গসাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌতমপ্রসাদ দত্ত, কবি মহুয়া চৌধুরী, চন্দ্রিমা দত্ত সহ শহরের বিশিষ্টজনেরা৷ উদ্বোধনী পর্বে পৌরোহিত্য করেন ট্রাস্টের সহসভাপতি জয়দীপ দেব৷ সঞ্চালনায় শ্যামানন্দ চৌধুরী৷ বিকেলে হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী সভা৷
মুখ্য আয়োজক দুর্বা দেব বলেন, প্রতি বছর প্রতিযোগীদের লড়াই তীব্রতর হচ্ছে৷ বিভিন্ন জায়গা থেকে প্রতিযোগীরা আসছেন৷ শিলং থেকে এ বার যোগ দিয়েছেন শক্তি দাস৷ আবার শ্রীকোণা দামছড়ার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসেছেন রাজমতী দাস৷