Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
দৃশ্যকলা বিভাগের প্রদর্শনীতে ব্যাপক সাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে
ওয়েটুবরাক, ১৪ ডিসেম্বর : চমক সৃষ্টি করল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যকলা বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা । বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই তিনদিনের প্রদর্শনীতে ব্যাপক সাড়া জাগাতে সক্ষম হল তারা।
১২ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের এক প্রশিক্ষণ এবং মেলার আয়োজন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার ফর ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম’ (আই কে এস)। বিপিন পাল প্রেক্ষাগৃহে একদিকে চলে মনোজ্ঞ আলোচনা, অন্যদিকে প্রেক্ষাগৃহ সংলগ্ন চত্বরে আয়োজিত হয় মেলা ও প্রদর্শনী । এতে স্থানীয় বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর পরম্পরাগত পোশাক, কৃষিজাত সামগ্রী, রকমারি খাদ্যসামগ্রী সহ বিভিন্ন ধরনের স্টল বসে । আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যকলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরাও বিরাট এলাকা জুড়ে তাদের সৃষ্টির পসরা মেলে ধরে। পেইন্টিং, ভাস্কর্য থেকে শুরু করে শিল্পের সম্ভাব্য সব মাধ্যমের সৃজনকর্মই সেখানে ছিল। ভাস্কর্যের মধ্যে টেরাকোটা, কাঠ, সিমেন্ট, ফাইবার গ্লাস, প্লাস্টার অব প্যারিস সহ বিভিন্ন মাধ্যমের কাজ। পেইন্টিংয়ে জলরং, তেল রং, অ্যাক্রাইলিক, পেনসিল, কালি-কলম থেকে মিশ্র মাধ্যম কিছুই বাদ যায়নি। ছিল উন্নত মানের ফটোগ্রাফিও । তবে বাপি সিনহা, শিবম দাস, প্রিয়াংশু চৌধুরী, কিরণ সিনহার মতো দক্ষ ছাত্রদের হাতে লাইভ স্কেচ করাতে ব্যাপক ভিড় জমে ওঠে ।
তাছাড়া শংকরী মজুমদারের এবং মঙ্গলসানা সিংহের মিনিয়েচার ভাস্কর্য আলাদা করে নজর কাড়ে। সাজিয়ে রাখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যকলা বিভাগে সরাচিত্রকে ভিত্তি করে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া কর্মশালায় তৈরি শিল্প সামগ্রীও। ব্যতিক্রমী এই প্রদর্শনী দেখতে উপচে পড়ে ভিড়। গোটা পরিবেশই যেন বদলে দিয়েছিল দৃশ্যকলা বিভাগের প্রদর্শনী । এ দেখে মুগ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজীবমোহন পন্থ বলেন, এই প্রদর্শনী নিয়ে যেতে হবে দিল্লিতে । তাছাড়া প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের শিল্প প্রদর্শনীর পরম্পরা চালু করতে হবে। এতে একদিকে যেমন ছাত্ররা তাদের সৃজনকর্ম সবার সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাবে, তেমনি শিল্পরসিকরাও ব্যতিক্রমী শিল্পরস উপভোগের স্বাদ পাবেন।
দৃশ্যকলা বিভাগের এই প্রদর্শনীর সংযোজক ছিলেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজন কুমার বৈদ্য। তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিভাগের বাকি সব শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারী।