NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
দুই রাজ্য নয়, আসলে চিন-ভারত লড়াই, বললেন দত্তরায়
ওয়েটুবরাক, ৩০ জুলাই : শুধু সীমাবিবাদে এক রাজ্যের পুলিশ আরেক রাজ্যের পুলিশের ছয় জওয়ানকে খুন করে ফেলতে পারে না। অসম ও মিজোরামের মধ্যে যা চলছে, একে চিন-ভারত লড়াই বলেই মনে করছে বরাক ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। তাই বিষয়টিকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। সংগঠনের মুুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, আসলে চিন উত্তর-পূর্বের শান্তি বিঘ্নিত করতে চাইছে। মূল লক্ষ্য, উত্তর-পূর্ব ভারতকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া। তাই মিজোরামকে হাতে নিয়ে এরা অসম পুলিশের ছয় জওয়ানকে হত্যা করেছে।
তাঁদের এমন অনুমানের পেছনে যু্ক্তি তুলে ধরে বিডিএফের মিডিয়া ইনচার্জ জয়দীপ ভট্টাচার্য বলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মিজোরাম সরকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজের রাজ্যে শরণার্থী হিসেবে রাখছে। আসলে রোহিঙ্গা শরণার্থীর নামে মিজোরাম সরকার চিনের মদতপুষ্ট জঙ্গিদল আরাকান আর্মিকে জায়গা করে দিয়েছে৷ এরাই ড্রাগস, অস্ত্রের চোরাকারবার করছে৷ তাই বিডিএফ নেতাদের আর্জি, সীমাবিবাদ বলে বিষয়টিকে খাটো করে দেখলে চলবে না৷
দুই বিজেপি বিধায়ক কৌশিক রাই ও দীপায়ন চক্রবর্তীর অর্থনৈতিক অবরোধ সমর্থনকে প্রদীপবাবু দ্বিচারিতা বলে উল্লেখ করেন৷ তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ক্ষমতা থাকলে দুই বিধায়ক দলীয় পতাকা নিয়ে অর্থনৈতিক অবরোধে বসুন৷ তাঁরা এ টুকু করলে বিডিএফ এক হাজার মানুষ নিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন বলে অঙ্গীকার করেন৷
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদীপ দত্তরায়, জয়দীপ ভট্টাচার্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঋষিকেশ দে, জওহর তারণ, সমর ভট্টাচার্য, কল্পনার্ব গুপ্ত, অমিত চৌধুরী প্রমুখ৷