Barak UpdatesIndia & World UpdatesHappeningsBreaking News

দুই দেশের দুই সমাজসেবীর সুবাদে পাঁচ বছর পরে বাড়ি ফিরলেন মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক

ওয়েটুবরাক, ১৬ ফেব্রুয়ারি : আটমাস আগে  তাঁকে এলাকায় ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল  কাছাড় জেলার হরিনগরের ব্যবসায়ী, স্থানীয় বাসিন্দাদের৷ জিজ্ঞাসা করেও সন্তোষজনক জবাব মিলছিল না৷ বরং বিভ্রান্তিকরই ঠেকছিল৷ তবে নাম-ঠিকানায় কোনও গণ্ডগোল ছিল না৷ বারবার বলেন, তার নাম লক্ষ্মণ ভূমিজ৷ বাড়ি বাংলাদেশে৷ হরিনগরের মানুষদের বুঝতে বাকি থাকেনি, মানসিক সমস্যা রয়েছে তাঁর৷

বরাক উপত্যকায় এই ধরনের নিখোঁজদের বাড়ির পৌঁছানোর কাজ করেন করিমগঞ্জ জেলার যুবক সুজন দেবরায়৷ হরিনগরের মানুষ তাঁকেই ফোনে লক্ষ্মণের কথা জানান৷ সাড়া দিতে দেরি করেননি তিনি৷ তার ভিডিও নিজের ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন৷ বিশেষ ভাবে পাঠান বাংলাদেশের বন্ধুদের কাছে৷ সুজন জানান, এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেন বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের অমলেন্দু দাস৷ তিনি সুজনের পোস্টটিকে ভূমিজ জনগোষ্ঠীর কয়েকজনের কাছে পাঠান৷ ওই সূত্রেই বেরিয়ে আসে, তাঁর বাড়ি সিলেট জেলার তারাপুর অঞ্চলে৷

ঠিকানা নিশ্চিত হতেই অমলেন্দু দাস লক্ষ্মণের মায়ের সঙ্গে কথা বলেন৷ রীনা ভূমিজ জানান, ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল পাঁচ বছর আগে৷ বহু খোঁজখবর করেও সন্ধান মেলেনি৷ তাঁকে ফিরে পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন৷ এখন
লক্ষ্মণকে তিনি ফিরে পেতে চান জেনে সুজন যোগাযোগ করেন বাংলাদেশ সরকারের গুয়াহাটি স্থিত অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনারের কার্যালয়ে৷ দুই দেশে শুরু হয় চিঠি লেখালেখি৷ কিন্তু প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে করোনা অতিমারি৷ এখন সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতেই বাংলাদেশ সরকার তাঁর নামে ট্র্যাভেল পারমিট ইস্যু করে৷ জানায় সুজনকেও৷

আজ বুধবার তিনিই করিমগঞ্জ থেকে গাড়ি নিয়ে হরিনগরে যান৷ সেখান থেকে সুতারকান্দি স্থলবন্দরে৷ ও দিক থেকে সীমান্তে অপেক্ষা করছিলেন লক্ষ্মণের মা-ভাই৷ দেখেই তাঁরা দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন লক্ষ্মণকে৷ লক্ষ্মণের মধ্যে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি৷ রীনাদেবী, বলেন, “মাথা ঠিক নেই তো আমার ছেলেটার!”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker