India & World UpdatesHappeningsBreaking News
দানার দাপট কমল, তবু সতর্ক ওড়িশা-বঙ্গ
ওয়েটুবরাক, ২৫ অক্টোবরঃ ঘূর্ণিঝড় দানা’র দাপট কমেছে। ভুবনেশ্বরে মৌসম ভবনের আঞ্চলিক হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির দাপট চলবে। ইতিমধ্যেই সেই জেলাগুলিকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তবু দুটি জেলাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
দুর্যোগ-পরবর্তী পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কোনও শৈথিল্য রাখতে চাইছে না নবান্ন। শুক্রবার দুপুরে রাজ্য প্রশাসনের এই মনোভাবের কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ ভাবে নজর দিতে বলেন উপকূলবর্তী দুই জেলা পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিস্থিতির উপরে।
এ দিকে ভুবনেশ্বরের মৌসম ভবন সূত্র জানিয়েছেন, দানা’র জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কেন্দ্রাপাড়া জেলার রাজকণিকায়। সেখানে ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়াও রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। রাজকণিকা ছাড়াও কেন্দ্রাপাড়ার মার্শাঘাই, দেরাবিস এবং রাজনগরে যথাক্রমে ১১০, ১২০ এবং ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই ভাবে, বালেশ্বরের উপড়ায় ১০৯ মিলিমিটার, ভদ্রকের বাসুবেবপুরে ১১০, খুরদার বালিয়ান্তায় ৯২ মিলমিটার বৃষ্টি হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়।
দানা’ শক্তি হারিয়েছে। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার পর সেটি ক্রমশ পশ্চিম দিকে সরে যাবে। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার দাপটও থাকবে। কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতিবেগ থাকবে। বিশেষ করে বালেশ্বর, ময়ূরভঞ্জ, কেওনঝড়, ভদ্রক, জগৎসিংহপুর, কটক, কেন্দ্রাপাড়া, ঢেঙ্কানল, সুন্দরগড় এবং খুরদায় ঝোড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে সন্ধ্যা পর্যন্ত। তার পর ধীরে ধীরে তা কমবে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে।
তবে ঘূর্ণিঝড় দানা’র কারণে ওড়িশায় কারও প্রাণহানি হয়নি। শুক্রবার সকালে দুর্যোগ-পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে এমনটাই জানান সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মোহনচরণ মাঝি। সকাল সাড়ে ৭টায় ঘূর্ণিঝড়টির স্থলভাগে প্রবেশের প্রক্রিয়া (ল্যান্ডফল) শেষ হয়। ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রশাসনিক নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির কারণে কারও মৃত্যু হয়নি। সরকারের লক্ষ্য ছিল, আমরা কাউকে মারা যেত দেব না। আমরা কথা রাখতে পেরেছি।”