ওয়েটুবরাক, ২৩ সেপ্টেম্বরঃ দরং জেলার সিপাঝারে উচ্ছেদ অভিযানে পুলিশের গুলিচালনায় দু’জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের মধ্যে পুলিশ কর্মীও রয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার ধলপুর ৩ নম্বর এলাকায় উচ্ছেদ অভিযানে যান তাঁরা। সে সময় আক্রমণ চালায় স্থানীয়দের একাংশ। পাল্টা কাঁদানে গ্যাস আর রাবার বুলেট ছোঁড়ে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে শূন্যে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। তাদের গুলিতেই দুই বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে, সে কথা স্পষ্ট করে এখনও বলছে না পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে। সূত্রটি বলেন, অন্তত পাঁচশোটি বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে আসাম পুলিশ বাহিনী। এর পরই ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
এসপি সুশান্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, “আমাদের ৯ জন পুলিশ অফিসার আহত হয়েছেন। দু’জন নাগরিকও আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” পরিস্থিতি এই সময়ে স্বাভাবিক বলে দাবি করে তিনি বলেন, গণ্ডগোলের জন্য উচ্ছেদ অভিযান সম্পূর্ণ করা যায়নি। পরে আবার করা হবে।
সোমবার এই উচ্ছেদ অভিযান শুরুর পরই ট্যুইটারে সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি লেখেন, “অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। ৮০০ পরিবারকে উচ্ছেদ করে, ৪টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভেঙে গুঁড়িয়ে সাড়ে চার হাজার বিঘা জমি খালি করার জন্য আমি খুব খুশি। এই কাজের জন্য দরঙ প্রশাসন ও আসাম পুলিশের প্রশংসা করছি।”
পরে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, গুলি চালনার ঘটনায় দুইজনের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।হাই কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে এই দায়িত্ব প্রদান করা হবে।
বিজেপির আসাম রাজ্য কমিটির প্রধান মুখপাত্র কামাখ্যাপ্রসাদ তাসা বলেন, ভাল কাজের যারা বিরোধিতা করে, তারা অপরাধীই। সরকার অপরাধীদের প্রশ্রয় দেবে না। এ দিকে, এক সরকারি চিত্রগ্রাহকের আচরণ নিয়ে চর্চা জোরালো হয়ে উঠেছে৷ মৃতের ওপর তার লাফিয়ে পড়া, পা মাড়ানোর ভিডিও সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে৷
রাজ্যের ডিজিপি ভাস্করজ্যোতি মহন্ত জানান, অভিযুক্ত চিত্রগ্রাহক বিজয় বনিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সিআইডিকে ওই ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। বিজয় বর্তমানে সিআইডির জিম্মায়৷
