NE UpdatesHappeningsBreaking News
ত্রিপুরার সাতবারের বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত প্রয়াত
ওয়েটুবরাক, ২৮ ডিসেম্বর: ত্রিপুরা বিধানসভার সদস্য তথা রামনগর কেন্দ্রের সাতবারের বিধায়ক সুরজিৎ দত্ত প্রয়াত হয়েছেন। বুধবার রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর৷
তাঁর প্রয়াণে আগরতলা শহর সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শোক পরিলক্ষিত হয়৷ তাঁর প্রয়াণে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ও সাংসদ বিপ্লব কুমার দেব গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আগরতলার মেয়র দীপক মজুমদার বলেন, “আমি প্রকৃত অর্থেই অভিভাবকহীন হলাম৷”
গত কিছুদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতার জন্য আগরতলার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বুধবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বহিঃরাজ্যে। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। বুধবার রাতে কলকাতার এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিধায়ক, প্রাক্তন মন্ত্রী, বিজেপি নেতা সুরজিৎ দত্ত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর দেহ বিমানে আগরতলায় আনা হবে৷ গোটা রামনগর সহ শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমার পর অন্ত্যেষ্টি সম্পন্ন হবে৷
প্রসঙ্গত, ১৯৮৮ সালে প্রথমবার কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে রামনগর আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন সুরজিৎ দত্ত ওরফে সুনু দত্ত৷ সে বারই নানা গুরুত্বপূর্ণ দফতর সহ মন্ত্রিসভায় স্থান পান৷ পরববর্তী সময়ে সিপিএম ক্ষমতায় এলেও রামনগরে সুনু দত্তের আসন পাকাই থেকে যায়৷ কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে যেমন, তেমনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর ভোটাররা প্রতীক দেখেননি, দেখেছেন সুনু দত্তকে৷ বহু তাবড় তাবড় নেতাকে তিনি পরাস্ত করেছেন৷ এর বড় কারণ হল, মন্ত্রী হয়ে এলাকার প্রতি এতটাই কাজ করেছিলেন যে, প্রথমবারেই সকলের মন জয় করে নেন৷ দ্বিতীয়ত, গুরুজনদের দেখলেই পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ প্রার্থনা করতেন৷
এককালে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল, কিন্তু প্রথমবার ভোটে জিতেই তিনি দেখালেন, মানুষ কত দ্রুত পাল্টে যেতে পারেন৷ সাতবার জেতাই প্রমাণ করে, মানুষের হৃদয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন সুনু দত্ত৷