NE UpdatesHappeningsBreaking News
ত্রিপুরায় বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস-বামেদের যৌথ আবেদন
ওয়েটুবরাক, ২৮ ডিসেম্বর: বিজেপিকে ঠেকাতে কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট যৌথ আবেদন করল। বিধানসভা নির্বাচনে এই দুই দলের জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা৷ যদিও জোট গঠনের ব্যাপারে কোনও আলোচনা এখনও হয়নি বলেই দাবি উভয় দলের। তবে বিজেপিকে প্রতিহত করার জন্যে তলায় তলায় যে নানা রকমের প্রস্তুতি চলছে, এই ঘটনা তারই ইঙ্গিত।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, “এখনও জোট নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। কিন্তু জনসাধারণের মধ্যে এ নিয়ে জোর জল্পনা কল্পনা চলছে, এই বিষয়টা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। বিজেপির প্রধান মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী অবশ্য বলেন, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এই যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। এই রাজ্যের মানুষ রাজনৈতিক এবং গণতন্ত্র সচেতন। কংগ্রেস এবং সিপিএম-এর মিথ্যা ষড়যন্ত্রের যোগ্য জবাব ত্রিপুরার জনগণ দেবেন।
যৌথ আবেদনে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, সিপিআই রাজ্য সম্পাদক যুধিষ্ঠির দাস, ফরোয়ার্ড ব্লক চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার, আরএসপি রাজ্য সম্পাদক দীপক দেব, সিপিআই(এমএল) রাজ্য সম্পাদক পার্থ কর্মকার স্বাক্ষর করেন। তিপ্রামথা দলের সুপ্রিমো প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মাও তাঁদের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেন। তিনি অসুস্থার কারণে রাজ্যের বাইরে রয়েছেন তাই তিনি স্বাক্ষর করতে পারেননি বলে জানান জিতেন্দ্র চৌধুরী।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, বর্তমান সময়ে রাজ্যে একদলীয় শাসন ও ফ্যাসিস্ট সুলভ আক্রমণ করা হচ্ছে। গণতন্ত্র অপহরণ করা হয়েছে। প্রশাসনকে কুক্ষিগত করে সংবিধানের নিয়ম-কানুন এখানে সম্পূর্ণ লংঘন করা হচ্ছে। নাগরিক এবং সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আক্রান্ত। বিরোধী রাজনৈতিক দলকে কোনও কর্মসূচি স্বাধীনভাবে পালন করতে দেওয়া হয় না। তার জন্যে বিজেপি জোট সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তিগুলিকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। এই লড়াই করে আগে শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। নইলে এককভাবে বা যৌথভাবে নির্বাচনে লড়াই করা যাবে না। বিজেপি ৫৮ মাস সময়ে সবকটি নির্বাচনে যেভাবে কারচুপি করেছে বিধানসভা নির্বাচনেও সেই একইভাবে কারচুপি করবে। সে জন্য অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে এই যৌথ আবেদন করা হয়েছে।
যৌথ বিবৃতিতে সাধারণ প্রশাসন ও বিশেষভাবে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়, তারা যাতে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করেন। বিধানসভা নির্বাচনে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকেও অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা।