Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News

‘তিন সত্যি’ ! নতুন নাটকেই ৪১-তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন ভাবীকালের

ওয়েটুবরাক, ২৫ মে : শিলচরের ঐতিহ্যবাহী নাট্যদল ভাবীকাল-এর ৪১-তম প্রতিষ্ঠাদিবস উপলক্ষে গত শুক্রবার দাস কলোনি স্থিত মাতৃভবনে আলোচনা সভা ও নতুন নাটক ‘তিন সত্যি’ প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভাবীকালের পৃষ্ঠপোষক, আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশিস ভট্টাচার্য। তিনি ভাবীকালকে সুষ্ঠু নাট্যচর্চার অন্যতম ধারক ও বাহক বলে অভিহিত করেন।
সব শেষে শান্তনু পালের রচিত ও সায়ন্তনী পাল মিঠি নির্দেশিত নতুন নাটক ‘তিন সত্যি’ প্রদর্শন করে উপস্থিত সকলের ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেন। এতে অভিনয় করেন দেবস্মিতা, গৌরব, তিশা, ঋতুপর্ণা, জয়প্রকাশ, বিনায়ক, রাজশ্রী, জুয়েল ও প্রিয়া।
ভাবীকালের পুরোধা শান্তনু পাল জানান, এ দিন নাটকটির অংশবিশেষ প্রদর্শন করা হয়েছে। শীঘ্রই একে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়ে মঞ্চস্থ করা হবে। অনুষ্ঠানের শেষপর্বে উপস্থিত সকলে কেক কেটে ভাবীকালের ৪০-তম বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানের সমাপ্তির পাশাপাশি ৪১-তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেন।
এ দিন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ভাবীকালের নাট্যকর্মীদের শংসাপত্র প্রদান করা হয়। বিশ্ব নারী দিবসে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে নাটক পরিবেশন করে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তাঁরা। মূলত সেই নাটক উপস্থাপনার জন্যই অংশগ্রহণকারী সমস্ত নাট্যকর্মীদের শংসাপত্র দেওয়া হয়। ভাবীকালের মুখ্য পৃষ্ঠপোষক শান্তনু দাস (বাচ্চু), সভাপতি রঞ্জন দাস ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রজত দে তাঁদের হাতে সেগুলি তুলে দেন।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশন করেন দীপশিখা রায়। বিশিষ্ট নৃত্যশিক্ষিকা ড. মধুমিতা দাস ভট্টাচার্যও একটি নৃত্য পরিবেশন করেন। বিশিষ্ট সঙ্গীতশিল্পী মঞ্জুশ্রী দাস তাঁর সুমধুর কণ্ঠে সকলকে বিমোহিত করেন। উল্লেখ্য, ভাবীকালের সংস্থা সঙ্গীতটি এইবার তিনিই রেকর্ড বন্দি করে দেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ২৪ মে ভাবীকালের জন্ম হয়। দীর্ঘ চার দশকের মধ্যে নানা সময়ে ভাবীকালকে যাঁরা পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন, মূল্যবান মতামত দিয়ে সাহায্য করেছেন, তাঁদের মধ্যে কয়েকজনকে এদিন ভাবীকাল সম্মাননা জানানো হয়। তাঁরা হলেন মনীষ পোদ্দার, তৈমুর রাজা চৌধুরী, অনির্বাণ দত্ত, দেবরাজ চক্রবর্তী, পঞ্চতপা চৌধুরী, প্রসেনজিৎ দাস, রজত দে ও শুভ্রজিৎ পাল।
চার দশকে প্রায় ৫০টি নাটক মঞ্চস্থ করার পাশাপাশি ভাবীকাল নিয়মিত কর্মশালায়ও গুরুত্ব দিচ্ছে। বলা যায়, কর্মশালার মধ্য দিয়ে নাট্য সংগঠনটি এখন এক অনন্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এ ব্যাপারে নিজের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন ভাবীকালের প্রাক্তন প্রশিক্ষার্থী শিবম দাস। শিবম বলেন, শুধু অভিনয় নয়, কর্মশালায় অংশ নেওয়ায় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কথা বলার সাহস সঞ্চয় করেছেন। পরবর্তী সময়ে তা তাঁর পেশাতেও সাহায্য করছে। ওইদিন অনুষ্ঠানে ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন আজকের প্রজন্মের তরুণ নাট্যকর্মী কল্পিতা দেব৷ অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রশিক্ষার্থী থেকে নাট্য সংগঠক হয়ে ওঠা পল্লব ভট্টাচার্য।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker