India & World UpdatesHappeningsBreaking News
তিন ধাক্কায় ভারতের অর্থনীতির মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে, রিপোর্ট
ওয়েটুবরাক, ১২ জুলাই : ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চ-এর সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেশের অর্থনীতির করুণ চিত্র উঠে এসেছে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের ৫ জুলাই প্রকাশ করা বার্ষিক সমীক্ষার তথ্যের ভিত্তিতে এই রিপোর্টটি তৈরি হয়েছে।
ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চ-এর রিপোর্টে দেশের অর্থনীতিতে তিন ধাক্কার উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত, ২০১৭ সালে জিএসটি চালু ও ২০২০ সালে লকডাউন জারি করার ফলে দেশীয় অর্থনীতি, বিশেষ করে অসংগঠিত ক্ষেত্রের মেরুদণ্ড ভেঙে গিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ত্রিফলা ধাক্কার জেরে সামগ্রিক ক্ষতির পরিমাণ ২০২২-২৩ সালে দেশের মোট জিডিপি ৪.৩ শতাংশের সমতুল। ২০১৫-১৬ থেকে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে ইনফর্মাল সেক্টরের প্রায় ৬৩ লক্ষ সংস্থা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দেশের গরিব মানুষের। কারণ অসংগঠিত ক্ষেত্রের বিভিন্ন সংস্থার উপরই অসংখ্য নিম্নবিত্ত মানুষের রুটিরুজি নির্ভর করে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, অসংগঠিত ক্ষেত্রের একাংশ সংগঠিত ক্ষেত্রের আওতায় এসেছে। এর ফলে কর সংগ্রহ বেড়েছে। সরকারের কোষাগার ভরেছে। কিন্তু অসংগঠিত ক্ষেত্রে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির পথ অবরুদ্ধ হয়েছে।
পরিংখ্যান মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য বলছে, ২০২১-২২ সালে কৃষি বহির্ভূত সংস্থার সংখ্যা ছিল ৫.৯৭ কোটি। ২০২২-২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬.৫ কোটি। স্বাভাবিকভাবেই এক বছরে এই সেক্টরে কর্মসংস্থান ৯.৭৯ কোটি থেকে বেড়ে হয়েছে ১০.৯৬ কোটি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ‘ত্রিফলা ধাক্কা’র পূর্ববর্তী পরিস্থিতির তুলনায় এই কর্মসংস্থানের সংখ্যা অনেকটাই কম। কারণ নোট বাতিল, জিএসটি ও লকডাউনের আগে ২০১৫-১৬ সালে এই ক্ষেত্রে ১১.১৩ কোটি চাকরি হয়েছিল। অর্থনীতিতে তিন ধাক্কা না এলে ২০২২-২৩ সালে এই সংখ্যাটাই বেড়ে দাঁড়াত ১২.৫৩ কোটি।