India & World UpdatesHappeningsBreaking News
তিন কৃষি বিল ফিরিয়ে নিচ্ছি, ঘোষণা মোদির
ওয়েটুবরাক, ২০ নভেম্বর : তিন কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দীর্ঘদিনের কৃষক আন্দোলনের পর এই সিদ্ধান্ত নিলেন মোদি। পঞ্জাব নির্বাচনের আগে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে জোট গড়ার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ বলে অভিমত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
শুক্রবার মোদি বলেন, ‘আমি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি বলতে চাই, হয়ত আমাদের তপস্যাতেই খামতি ছিল। তাই কৃষি আইন প্রত্যাহার করা হচ্ছে। এই মাসে শুরু হতে চলা সংসদ অধিবেশনে এই কৃষি আইন প্রত্যাহার করব। আমি সবাইকে অনুরোধ করব, আসুন, আন্দোলন ছেড়ে একটি নয়া সূচনা করি। শীঘ্রই আইন প্রত্যাহারের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া পূর্ণ করে দেব। এবার আপনারা সকলে খেতে ফিরে যান, পরিবারের মধ্যে ফিরে যান।’
প্রধানমন্ত্রী এদিন নিজের বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, ‘গুরু নানকের বাতলে দেওয়া সেবার পথে হেঁটেই দেশবাসীর জন্য কাজ করছে সরকার। আমি গত পাঁচ দশকে কৃষকদের দুর্গতি দেখেছি। তাই ২০১৪ সালে যখন দেশ আমাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করার সুযোগ দেয়, তখন থেকে ছোট কৃষকদের জন্যে কাজ করতে চেয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জন ছোট কৃষক। তাদের জমির পরিমাণ ২ হেক্টরের কম। প্রায় ১০ কোটি এমন ছোট কৃষক আছে। এই ছোট জমিতেই তারা নিজেদের পরিবারের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য কাজ করছে। তাই বীজ, বিমা, বাজার আর সেভিংসের ক্ষেত্রে কাজ করেছে সরকার।
তাঁর দাবি, ফসল বীমা যোজনাকে আরও কার্যকরী করা হয়েছে। আরও বেশি সংখ্যক কৃষককে এর অধীনে নিয়ে এসেছেন তাঁরা। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কিষান সয়েল হেলথ কার্ড দেওয়া হয়েছে। এতে ফলন বেড়েছে। ছোট কৃষকদের ১ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলেন, কৃষকদের কষ্ট যাতে সঠিক দাম পায়, সেই কাজ করেছে সরকার। গ্রামীণ বাজারকে শক্তিশালী করা হয়েছে। এমএসপি বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি সরকার রেকর্ড পরিবার ফসল কিনেছে।
মোদির কথায়, দেশের ছোট কৃষকদের কথা ভেবেই তিনটি কৃষি বিল আনা হয়েছিল। দেশের কৃষক সংগঠন, কৃষি অর্থনীতিবিদদের এই দাবি বহুদিনের। এর আগের সরকারও এই নিয়ে ভেবেছে। এরপরই সংসদে কৃষি বিল নিয়ে আলোচনা করে বিল পাশ করানো হয়। কয়েক কোটি কৃষক এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছে। ভালো মনে এই আইন আনা হয়েছিল। কৃষকদের স্বার্থে আনা এই বিল আমরা কয়েকজনকে বোঝানো যায়নি। কয়েকজন কৃষকই এর বিরোধিতা করছেন। তাও এটা বড় বিষয়। মোদি বলেন, ‘তাদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি আমরা। আমরা তাদের কথাও বোঝার চেষ্টা করেছি। সরকার আইন বদলাতেও রাজি ছিল। এরই মাঝে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে চলে গিয়েছে।’