India & World UpdatesHappeningsSportsBreaking News
ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ, চার বছরের জন্য নির্বাসিত দ্যুতি চন্দ
ওয়েটুবরাক, 19 আগস্টঃ ডোপ পরীক্ষায় ব্যর্থ হলেন দ্রুততমা ভারতীয় অ্যাথলিট দ্যুতি চন্দ। চার বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে তাঁকে। শাস্তি হিসাবে ২০২৩ সালে তাঁর জেতা সব পদক, পুরস্কার কেড়ে নেওয়া হবে। মুছে দেওয়া হবে গত আট মাসের সব পরিসংখ্যান।
গত ৫ এবং ২৭ ডিসেম্বর ডোপ পরীক্ষার জন্য দ্যুতির যে নমুনা নেওয়া হয়েছিল, তাতে নিষিদ্ধ ওষুধের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে। গত ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে তাঁর নির্বাসনের মেয়াদ। অ্যান্টি ডোপিং ডিসিপ্লিনারি প্যানেলের (এডিডিপি) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘‘এক জন অ্যাথলিট নিষিদ্ধ কিছু গ্রহণ করেছিলেন। এমন গুরুতর গাফিলতি বা অপরাধ হালকা ভাবে নেওয়া যায় না।’’ আরও বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ ওষুধটি অজান্তে বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে খেয়ে ফেলেছিলেন, তাও প্রমাণ করতে পারেননি দ্যুতি। এডিডিপির প্রধান চৈতন্য মহাজন বলেছেন, ‘‘সব কিছু খতিয়ে দেখা হয়েছে। ডোপিং বিরোধী আইন অনিচ্ছাকৃত ভাবে লঙ্ঘন হয়েছে এমন কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি অ্যাথলিট। নিজের দাবি প্রমাণ-সহ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি তিনি। প্রথমত, অভিযুক্ত অ্যাথলিট কোনও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ না করে নিজের ফিজিয়ো থেরাপিস্টের সঙ্গে আলোচনা করে ওষুধ খেয়েছিলেন। দ্বিতীয়ত, অভিযুক্ত অ্যাথলিট ওষুধ খাওয়ার আগে তার উপাদান সম্পর্কে নিশ্চিত হননি। তৃতীয়ত, ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি (ওয়াডা) সর্বশেষ নিষিদ্ধ ওষুধের যে তালিকা প্রকাশ করেছে, তার সঙ্গে ফিজিয়ো থেরাপিস্টের দেওয়া ওষুধ মিলিয়ে নেননি।’’
জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সির (নাডা) নিয়মের ২.১ এবং ২.২ ধারা লঙ্ঘন করায় দ্যুতিকে চার বছরের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নাডা দু’বার দ্যুতির নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছিল। দু’ক্ষেত্রেই তাঁর নমুনায় নিষিদ্ধ অ্যানাবলিক স্টেরয়েড পাওয়া গিয়েছে। তখনই তাঁকে সাময়িক ভাবে নির্বাসিত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার তাঁকে চার বছরের নির্বাসনের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
তবে ২১ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারবেন ২৬ বছরের ক্রীড়াবিদ। এশিয়ান গেমসে একাধিক পদকজয়ী অ্যাথলিট নির্বাসনের বিরুদ্ধে আবেদন করার কথা জানিয়েছেন। তাঁর আইনজীবী পার্থ গোস্বামী বলেছেন, ‘‘যে নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। তা ছাড়া যে সময় ওষুধ খাওয়া হয়েছিল, তখন কোনও প্রতিযোগিতা ছিল না। তাই বিশেষ কোনও উদ্দেশ্যে ওষুধ খাওয়া হয়েছিল, তার কোনও প্রমাণ নেই। দ্যুতি শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সুবিধা কোনও প্রতিযোগিতায় নেননি। দ্যুতি একাধিক বার আন্তর্জাতিক স্তরে দেশকে গর্বিত করেছেন। এক দশকের বেশি সময় অসংখ্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। অন্তত ১০০ বার ডোপ পরীক্ষা দিয়েছেন দ্যুতি। কখনও এমন ঘটনা ঘটেনি। সব ক্ষেত্রেই উত্তীর্ণ হয়েছেন। তাই নির্বাসনের শাস্তি মকুবের জন্য আবেদন করা হবে।’’