NE UpdatesHappeningsBreaking News
ডিলিমিটেশন নিয়ে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পরামর্শ পাঠানো যাবে নির্বাচন কমিশনে
ওয়েটুবরাক, ২৮ মার্চঃ বিধানসভা ও লোকসভা আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের ব্যাপারে অসমে এসে তিনদিন ধরে বিভিন্ন পক্ষের মতামত গ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। আলোচনা করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। মোট নয়টি দল নিজেদের প্রস্তাব তাঁদের সামনে তুলে ধরে। ৬০টি বিভিন্ন সংগঠন তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাত করে নানা পরামর্শ দেয়। তবে কংগ্রেস মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের নেতৃত্বে অসমে আসা তিন সদস্যের কমিশনকে বয়কট করে। তাদের বক্তব্য, সমস্ত রাজনৈতিক দলের জন্য কমিশন মাত্র তিন ঘণ্টা সময় বরাদ্দ করেছে। ফলে তাঁদের দশ মিনিটের বেশি পাওয়া যেত না। এত কম সময়ে এমন জটিল বিষয় নিয়ে কিছুই বলা সম্ভব নয়। তাই তাঁরা না যাওযারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ছাড়াও, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা বলেন, গত ৪ জানুয়ারি কমিশনের কাছে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠিয়ে ২০১১ সালের জনসংখ্যাকে কেন ধরা হচ্ছে না, জানতে চাওয়া হয়েছিল। ৮ ফেব্রুয়ারিও এ ব্যাপারে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। কিন্তু কোনও জবাব মেলেনি। তাই তাঁর বিশ্বাস, কমিশনের ডাকা বৈঠকে গিয়ে কোনও লাভ হবে না। কংগ্রেসের কথা উল্লেখ না করলেও তিন সদস্যের কমিশন জানিয়েছে, যাদের সঙ্গে দেখা-কথা হয়নি, তাঁরা আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত নিজেদের প্রস্তাব পাঠাতে পারেন।
২০১১-র জনসংখ্যাকে না নিয়ে ২০০১ সালকে কেন ধরা হচ্ছে, এই প্রশ্নে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের জবাব, সংবিধানের নিয়ম অনুসারেই এমনটা করতে হচ্ছে। কিন্তু কী সেই নিয়ম, সে ব্যাখ্যায় যাননি তিনি। কিন্তু ২০১১ সালের জনসংখ্যায় জম্মু-কাশ্মীরে আসন পুনর্গঠন করা হলে অসমে নয় কেন, চিঠিতে এও জানতে চেয়েছিল কংগ্রেস। এ বারেও পাশ কাটানো উত্তর সিইসি-র, জম্মু-কাশ্মীর আর উত্তর-পূর্ব ভারত এক নয়। কংগ্রেসের আরও দাবি, এনআরসি-র পরেই এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় হাতে দেওয়া হবে বলে আগে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছিল। রাজীব কুমার বলেন, এনআরসি-র সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।