Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ডিলিমিটেশনে দুই বিধায়ক কমছেন বরাকে, তীব্র প্রতিক্রিয়া
ওয়েটুবরাক, ২১ জুন : এলাকা পুনর্বিন্যাসে বাঙালিপ্রধান বরাক উপত্যকায় দুটি বিধানসভা আসন কমছে৷ তাতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে৷
এখন উপত্যকার তিন জেলায় মোট ১৫টি আসন রয়েছে৷ কাছাড় জেলায় ৭টি আসন ঠিকঠাক রাখারই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু করিমগঞ্জে পাঁচটি থেকে কমিয়ে চারটি ও হাইলাকান্দিতে তিনটির জায়গায় দুইটি করা হচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী এই ডিলিমিটেশন প্রস্তাবকে স্বাগত জানানোর দরুন এখানকার শাসক দলের নেতারা ঝেড়ে কাশতে পারছেন না৷ ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁরাও উৎকন্ঠা প্রকাশ করছেন৷ তাঁদের অনেকের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েই যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তা তাঁরা বেমালুম বুঝতে পারছেন৷ কিন্তু সাংগঠনিক পরাকাষ্ঠা মেনে মনের কথা প্রকাশ করতে পারছেন না৷
তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব অবশ্য খোলামেলা জানতে চান, ২০০১ সালের জনগণনায় কি করিমগঞ্জ-হাইলাকান্দি জেলায় ভোটার কমে গিয়েছে? নইলে বড়োল্যান্ডে আসন বাড়ানো হচ্ছে, বরাকে কমানোর কথা কেন? তিনি বলেন, ২০২৬ সালে সারা দেশে একসঙ্গে ডিলিমিটেশন হবে৷ এর মাত্র তিন বছর আগে আসামে এই আংশিক ডিলিমিটেশন কেন? ২০০৮ সালেও একই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল৷ তখন বিজেপি আপত্তি করেছিল৷ বলেছিল, এনআরসির পরেই ডিলিমিটেশন হোক৷ এখন কী এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হল যে, এনআরসির আগেই খসড়া প্রকাশ করতে হল? এনআরসি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীরব কেন, জানতে চান পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভা সদস্য সুস্মিতা৷
এইসব প্রশ্ন বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠনেরও৷ সামাজিক মাধ্যমেও দুই আসন কমানো নিয়ে প্রতিবাদে সরব সবাই৷ অনেকেরই বক্তব্য, রাজনৈতিক দল, ধর্মীয় পরিচিতি যাই হোক, বিধানসভায় বরাক উপত্যকার প্রতিনিধিত্ব কমানো চলবে না৷ বিজেপি সাংসদ রাজদীপ রায় অবশ্য বলেন, এ শুধুই খসড়া৷ এখন জনতা দাবি-আপত্তি জানাবেন৷ এর পর হবে চূড়ান্ত পুনর্বিন্যাস৷ ফলে এখনও প্রতিক্রিয়ার সময় হয়নি৷
পুনর্বিন্যাস প্রস্তাবে করিমগঞ্জ সংসদীয় আসনকে সংরক্ষণমুক্ত করে শিলচরকে তফশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে৷ এটিই শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত হলে রাজদীপ রায় ও সুস্মিতা দেব দুজনের কেউ শিলচর আসনে লড়তে পারবেন না৷