Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ডিলিমিটেশনঃ বরাকের জন্য কথা বলতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে, সোমবার অনশনে বসছেন সুস্মিতা
ওয়েটুবরাক, ৮ জুলাইঃ ডিলিমিটেশন একবার চূড়ান্ত হয়ে গেলে একে ফেরানো মুশকিল। তখন সুপ্রিম কোর্টে মামলা ছাড়া উপায় নেই। আর সুপ্রিম কোর্টে মামলা ঠোকা যে চাট্টিখানি কথা নয়, তা সকলেই বোঝেন। তাই তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেবের বরাকবাসীর উদ্দেশে আহ্বান, আগামী ১১ জুলাই এ সম্পর্কীত দাবি-আপত্তি জানানোর শেষ দিন। এই তিনদিনে সবাই মিলে আপত্তি জানান। তিনি বলেন, কী লিখবেন, এ নিয়ে এত সব ভাবার দরকার নেই। শুধু দুটি আসন কেটে নেওয়ায় আপত্তি জানান, এইটুকু লিখে নির্বাচন কমিশনে মেইল করে দিন।
তাঁর আশঙ্কা, ডিলিমিটেশন চূড়ান্ত করতে নির্বাচন কমিশন খুব বেশি সময় নেবে না। গুয়াহাটি ঘুরে গিয়েই তাঁরা এই কাজ সেরে নিতে চাইবে। কারণ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন তাদের লক্ষ্য। সে ক্ষেত্রে বিধানসভা ও লোকসভায় তা বাদল অধিবেশনেই পাশ করিয়ে নিতে চাইবে। তাই তাঁর আর্জি, শুধু সংস্থা-সংগঠনের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না, তারা পাঠালেও আপনারা পাঠান। ব্যক্তিগত ভাবে সবাই মিলে পাঠান।
রবিবার থেকে তৃণমূল কংগ্রেস স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে নামছে বলে ঘোষণা করেন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা। জানান, তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা বিশিষ্টজনদের বাড়িতে যাবেন, ব্যবসায়ীদের কাছে যাবেন। সকলের স্বাক্ষর স্ক্যান করে নির্বাচন কমিশনে মেইল করবেন।
এখানেই থেমে থামছে না ঘাসফুলের আন্দোলন। রাজেশ দেব, মোহনলাল দাস, সজল বণিক প্রমুখকে পাশে বসিয়ে সুস্মিতা দেব জানান, আগামী সোমবার তাঁরা নরসিংটোলার মাঠে সকাল নয়টা থেকে রাত সাতটা পর্যন্ত অনশন করবেন। এই ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া বাতিলের সঙ্গে তাঁদের আরও দাবি, দুটি আসন কর্তনের ব্যাপারে বরাক জুড়ে যে প্রতিবাদ ধ্বনিত হচ্ছে, অভিভাবক হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এর নেতৃত্ব দিন। তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের মুখ্যমন্ত্রী নন, শপথগ্রহণের পর রাজ্যের প্রতিটি অঞ্চলের তিনি অভিভাবক। তাই বরাক উপত্যকার দুটি আসন কর্তনে তাঁকে বরাকবাসীর পক্ষে নির্বাচন কমিশনে আপত্তি জানাতে হবে।
সুস্মিতার প্রশ্ন, ডিলিমিটেশন করার জন্য ডিলিমিটেশন অ্যাক্ট রয়েছে, ডিলিমিটেশন কমিশন রয়েছে, সেই সবকে এড়িয়ে নির্বাচন কমিশন কেন ডিলিমিটেশন করতে গেল। শিলচর বিধানসভা আসনে ভোটার বেড়ে গিয়েছে বলে ৫৪৪০০জন ভোটারকে অন্য আসনে সরানো হল। আবার ৩০ হাজার ভোটারকে অন্য জায়গা থেকে এখানে যুক্ত করা হল। অর্থাত কমানো হয়েছে মাত্র ২৪ হাজার ভোটারকে। তাহলে যোগ-বিয়োগ করে ৮৪হাজারের বেশি মানুষকে এদিক-সেদিক করার কী দরকার ছিল। সোজা ২৪ হাজার মানুষকে কমিয়ে দেওয়া হল না কেন? সব আসনেই এমন অপ্রয়োজনীয় যোগবিয়োগ করা হয়েছে।
তাই তাঁর অনুরোধ, ওইসব এখন বন্ধ রাখুন, 2026-র পরে সারা দেশের সঙ্গে আসামেও একসঙ্গে ডিলিমিটেশন করান। এখন 2001 সালের জনগণনা অনুসারে এই সব করার চেয়ে তখন সর্বশেষ জনগণনা কার্যকর করা হবে, সেটাই ভালো।