Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ডিজিটাল সিনেমা হলে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখার ব্যবস্থা করলেন দীপায়ন
ওয়ে টু বরাক, ১৪ মে : ‘লভ জেহাদ’ বর্তমানে হিন্দু সমাজ ব্যবস্থায় মাথাব্যথার অন্যতম কারণ হয়ে উঠেছে। হিন্দু মেয়েদের ফাঁদে ফেলে যেসব দেশদ্রোহী সমাজকে কলুষিত করছে, তাদের বিরুদ্ধে নারী সমাজের সচেতন হওয়া এই মুহূর্তে অন্যতম কর্তব্য। পাশাপাশি প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির উচিত, ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ প্রত্যেক মেয়েকে দেখিয়ে তাদের সচেতন করা। রবিবার ঠিক এভাবেই নিজের অভিমত ব্যক্ত করলেন শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন পশ্চিমি সভ্যতাকে সম্মান করব, তার ভালো দিকগুলো নিয়ে চলবো। কিন্তু আজকের দিনে সেটা কি হচ্ছে ? প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এ দিন শিলচরের ডিজিটাল সিনেমা হলে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের আবেদনে সাড়া দিয়ে কলেজ পড়ুয়াদের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ছবিটি দেখানোর ব্যবস্থা করেন শিলচরের বিধায়ক। পরে প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় সভ্যতার সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদির নেতৃত্বে দেশব্যাপী ভারতীয় সংস্কৃতি রক্ষার উদ্যোগ চলছে। কিছুদিন আগে রাজ্যের দলীয় প্রত্যেক বিধায়ককে নিয়ে ছবিটি দেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্তবিশ্ব শর্মা।
রবিবার বিধায়ক হিসেবে নিজের তাগিদ থেকেই এবিভিপির আবেদনের সাড়া দিতে হয়েছে। এদিন গুরুচরণ কলেজ, কাছাড় কলেজ এবং রাধামাধব কলেজের অধিকাংশ মেয়ে পড়ুয়া ছবিটি দেখেছেন। আগামী দিনগুলোতে অন্যান্য কলেজের পড়ুয়াদের জন্যও এ ব্যবস্থা করা হবে।
সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলির মধ্যে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে এখন দারুণ চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পর ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে বিনোদনের পাশাপাশি রাজনৈতিক মহলেও শোরগোল পড়ে গিয়েছে। একাধিক রাজনৈতিক দল এই ছবির বিরোধিতা করছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শো বাতিল হয়েছে।
তবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ কার্যত উপার্জনের নিরিখে রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে। প্রথম দিনেই দুর্দান্ত আয় দিয়ে শুরু হয়েছে ছবির যাত্রা। এই বছরে সব থেকে বড় ওপেনিং ছবির তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে এই ছবিটি। মুক্তির প্রথম দিনে ৮ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে যে ছবি তা আগামী দিনগুলোতে ব্যবসা আরও বাড়াবে তা বলাই বাহুল্য।
এই ছবিটি আসলে হিন্দু তরুণীদের ফাঁদে ফেলে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে বাধ্য করা এবং তাদের জঙ্গি দলে যোগ দেওয়ানোর প্রেক্ষাপটে তৈরি করা হয়েছে। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আদা। তাকে শালিনী থেকে ফাতিমা হতে হয়েছে। তার জীবন সংগ্রামকে কেন্দ্র করেই গল্প আবর্তিত হয়েছে। কেরালার প্রায় ৩২ হাজার হিন্দু মেয়েকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানো এবং তাদের হাপিস করে দেওয়া নিয়ে এই গল্প গোটা দেশে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। ছবিতে দেখানো হয়েছে কিভাবে হাজার হাজার মহিলাকে ইসলামে ধর্মান্তরিত করিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠনে নিয়োগ করা হয়।
এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হওয়ার সময় বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন জেলা যুব মোর্চার সভাপতি অমিতেশ চক্রবর্তী, এবিভিপির পক্ষে রোহিত চন্দ সহ অন্যান্য দলীয় কর্মকর্তারা।