Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ডলু চা-বাগানে অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের বিক্ষোভ
ওয়েটুবররাক, ৯ এপ্রিল : ডলু চা-বাগানের ২৫০০ বিঘা জমি অধিগ্রহণ হওয়ার পর শ্রমিকদের সমস্যা চরম আকার ধারণ করেছে। আসাম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের অভিযোগ, বাগান কর্তৃপক্ষ জমির বিনিময়ে ৫০ কোটি টাকা পাওয়ার পরও শ্রমিক স্বার্থে কোনও বিনিয়োগই করছেন না। বর্ষার মরশুম চলে এলেও অধিকাংশ শ্রমিকদের বাসস্থান মেরামতির কাজ এখনও বাকি। শ্রমিকরা নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন না, পাতা তোলার জায়গা কম থাকায় নিরিখ সম্পূর্ণ না হওয়ার অজুহাতে পূর্ণ হাজিরা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
ডলু চা-বাগানের শ্রমিক তথা অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের কর্মী বিষ্ণু সাঁওতালকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ম্যানেজমেন্ট একটি শোকজ নোটিশ দেয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি বাবু-স্টাফদের সাথে অশালীন ব্যবহার করেছেন। এই প্রসঙ্গ টেনে ইউনিয়ন জানায়, বিষ্ণু বর্ষার মরশুমের আগে শ্রমিকদের কোয়ার্টার মেরামত করার দাবি উত্থাপন করায় তার উপর শারীরিক নিগ্রহের অবস্থা তৈরি করা হয়েছিল। কোনও যুক্তিযুক্ত কারণ না দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ আরেক অভিযোগ করে, তিনি কোম্পানির ডিরেক্টরকে গালি দিয়েছেন এবং এর পরই তাকে সাসপেন্ড করা হয়। একে অন্যায় সাসপেনশন বলে দাবি করে ইউনিয়ন আরও বলে, যতবারই বাগান ম্যানেজারের সঙ্গে ডলু চা-বাগানের শ্রমিকরা তাদের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছেন ততবারই ম্যানেজার সুচতুর কৌশলে আলোচনা এড়িয়ে যান। অথচ বহু মাস থেকে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য থাকা সত্ত্বেও অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নকে চা-বাগান কর্তৃপক্ষ স্বীকৃতি দিতে টালবাহানা করছে।
এই সব ইস্যুকে সামনে রেখে গত শনিবার কাজ শেষে ডলু চা-বাগানের অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের শত শত কর্মী ম্যানেজারের অফিসে জমায়েত হয়ে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি, বিষ্ণু সাঁওতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে তাকে বিনা শর্তে অবিলম্বে কাজে বহাল করা, শ্রমিকদের কোয়ার্টার মেরামত করা ও অসম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নকে ডলু চা-বাগানের সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রমিকদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যাতে শ্রমিকরা আইন মোতাবেক যৌথ দর কষাকষির অধিকার পায়।
কিন্তু শ্রমিকদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে এদিনও বাগান ম্যানেজার ও তার অধস্তন কর্মীরা অনুপস্থিত থেকে শ্রমিকদের স্মারকপত্র গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকেন। বিক্ষোভরত শ্রমিকরা জানান, তাঁরা তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন ও ম্যানেজার তাদের অভিযোগ ও দাবিগুলো না শুনতে চাইলে প্রয়োজনে ম্যানেজারের বাংলোও ঘেরাও করতে বাধ্য হবেন তাঁরা। এদিনের বিক্ষোভে বক্তব্য রাখেন অঞ্জলি তন্তুবাই, কুঞ্জলতা ঘাটোয়ার, লখিন্দর তেলি, বিষ্ণু সাঁওতাল, ইন্দ্রজিৎ তেলি, নীলিমা ভূমিজ, গৌতম গোয়ালা প্রমুখ।