Barak UpdatesHappeningsBreaking News
জোর করে বিদ্যুতের স্মার্টমিটার প্রতিস্থাপনের বিরুদ্ধে গ্রাহক সংস্থার বিক্ষোভ শিলচরে
ওয়ে টু বরাক, ১৯ ডিসেম্বর : বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেই কেন মাশুল দিতে হবে ? এমন প্রশ্ন তুলে মঙ্গলবার শিলচরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করল অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কাছাড় জেলা কো-অর্ডিনেশন কমিটি। এ দিন এপিডিসিএল-এর হাইলাকান্দি রোডের শিলচর ডিভিশন-২ কার্যালয়ের সামনে কমিটি এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। বিক্ষোভ শেষে সংগঠনের পক্ষ থেকে এসডিই-এর কাছে স্মারকপত্র প্রদান করে বিভিন্ন দাবি জানানো হয়েছে।
স্মারকপত্রে কমিটি স্পষ্ট করে দিয়েছে, জোর করে স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপন করা চলবে না। সংগঠনের পক্ষ থেকে অধ্যাপক অজয় রায়, মানস দাস, বিশ্বজিত দাস, সঞ্জীব রায়, হিল্লোল ভট্টাচার্য, রঞ্জিত চৌধুরী, মাধব ঘোষ, মোহন মালা, সত্যজিৎ গুপ্ত প্রমুখ বলেন, স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা চালুর ক্ষেত্রে এপিডিসিএল কর্তৃপক্ষ জনগণের কাছে আসল তথ্য তুলে ধরছেন না। বর্তমানে গ্রামীণ এলাকায় জনগণকে বলা হচ্ছে, পোস্ট পেইড মিটার প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে। তাদের অগ্রিম বিল দিতে হবে না। অথচ কয়েক মাস পর যে এটাকে পোস্ট পেইড থেকে প্রিপেইডে নিয়ে যাওয়া হবে তা বলা হচ্ছে না। পোস্ট পেইড ব্যবস্থায় জনগণ বর্তমানে যেসব সুবিধা ভোগ করছেন তা থেকে যে তারা বঞ্চিত হবেন তাও গোপন করা হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জনগণ বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন। বিদ্যুতের মাশুল কেন বিদ্যুৎ ব্যবহার না করে প্রদান করতে হবে তার কোনও সঠিক উত্তর বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে নেই।
তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, জনগণের টাকায় পরিচালিত সরকারি কোম্পানি জনগণকে মিটার পরিবর্তনে বাধা দানে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কতটুকু যুক্তিসম্মত? তারা এও বলেন, গ্রাহকদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে তাদের ‘সিকিউরিটি ডিপজিট’ এর টাকা বিলের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে প্রিপেইড ব্যবস্থা চালু করতে গিয়ে। অথচ নির্দিষ্ট খাতে প্রদান করা অর্থ অন্য খাতে নিয়ে যেতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অনুমতি নেওয়ার নিয়ম রয়েছে তা উলঙ্ঘন করা হচ্ছে। তাছাড়াও ইলেকট্রিসিটি ( এমেনমেন্ট ) অ্যাক্ট, ২০০৩ এর ৫৬ নং ধারাকে উলঙ্ঘন করা হচ্ছে প্রিপেইড গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ক্ষেত্রে।
সংগঠনের পক্ষ থেকে এও বলা হয়েছে, অবিলম্বে আন্দোলনের পাশাপাশি আইনি লড়াই শুরু করা হবে। জনগণের মতামতকে গুরুত্ব না দিয়ে সম্পূর্ণ তুঘলকিভাবে চরম গ্রাহক বিরোধী প্ৰিপেইড স্মাৰ্ট মিটার ব্যবস্থা চালুর বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলতে সবার প্রতি অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। তাছাড়া আগামী ২৯ ডিসেম্বর গুয়াহাটিতে রাজ্য ভিত্তিক গ্ৰাহক সমাবেশের যে আয়োজন করা হয়েছে তা সফল করতে সবার সহযোগিতা কামনা করা হয়। এ দিনের প্রতিবাদী কার্যসূচিতে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জয় দাসগুপ্ত, সুব্রত কর, কাজল হাজাম, রামকুমার বাকতি, পরিতোষ ভট্টাচার্য, দিলীপ নাথ, চাম্পালাল দাস, ইউনিশ আলী চৌধুরী, হানিফ আহমেদ বড়ভূঁইয়া, শম্পা দে, দিলীপ কুমার রী প্রমুখ।