Barak UpdatesHappeningsBreaking News
জেলা গ্রন্থাগারের কাজে ইচ্ছাকৃত ঢিলেমির প্রতিবাদে সরব রূপম
ওয়েটুবরাক, ১৬ জুলাই : ২০২০ সালের মার্চে শেষ হয়েছিল পুরনো জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহ ভাঙার কাজ। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত নতুন প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণের কাজে কোনও অগ্রগতি হয়নি। এই ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করল শিলচরের রূপম সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংস্থা।
সাধারণ সম্পাদক নিখিল পাল বলেন, ২০২১ এর ফেব্রুয়ারি মাসে এই পাইলিং-এর সমস্যা ধরা পড়ে৷ দেখা যায়, নির্মাণগৃহের পাইল ফাউন্ডেশনের জন্য নির্দিষ্ট ১২ মিটার অব্দি গর্ত খোঁড়া যাচ্ছে না৷ তার আগেই পাথরের স্তর বেরিয়ে আসছে। রূপম কর্তাদের প্রশ্ন, তাহলে কি বিল্ডিং ডিজাইন এর আগে প্রয়োজনীয় মাটি পরীক্ষা করা হয়নি ? এরজন্য দায়ী কে ?
রূপমের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনমাস পর এই সমস্যার কথা জানানো হয় গুয়াহাটি পূর্ত দফতরকে। তারপর আরও দুমাস হতে চলল, এই ব্যাপারে কোনও সরকারি নির্দেশ আসেনি। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে বলেছেন, কোনও ফাইল যেন সরকারি অফিসে লাল ফিতের গেরোয় আটকে পড়ে না থাকে৷ তিনি এর জন্য সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগকে সতর্কও করে দিয়েছিলেন৷ এরপরও কেন মাসের পর মাস ধরে জেলা গ্রন্থাগারের ফাইল পড়ে রয়েছে? সে দিকে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি বলেন, এইভাবে চললে পূর্বনির্ধারিত ২০২২ সালের সময়সীমায় শেষ হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
নিখিল পাল আরও বলেন, বর্তমানে শহরে যে দুটি প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে, তাতে যা ভাড়া দিতে হয় তাতে অনেক সংস্থার পক্ষেই অনুষ্ঠান করা সম্ভব নয় এবং এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এই অঞ্চলের সামগ্রিক সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল। এছাড়া জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহের একটি উজ্জ্বল ঐতিহ্য রয়েছে , তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এর পুনর্নির্মাণ এখনকার একটি গণদাবি।
যাতে ২০২২ সালের মধ্যে এই নির্মাণ কাজ শেষ হয় তা নিশ্চিত করতে তিনি জেলা প্রশাসন, পূর্তদপ্তর ও শিলচরের সাংসদ, বিধায়ককে অবিলম্বে সক্রিয় হবার আবেদন জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে শিলচর শহরের সংস্কৃতিপ্রেমী জনসাধারণ ও সকল সংগঠনকে এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।