জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়ায় উদ্বিগ্ন সিআরইউ

ওয়েটুবরাক, ২ এপ্রিল : সাধারণ মানুষের চিন্তা বাড়িয়ে ১ এপ্রিল থেকে আবারও বাড়ল বেশ কিছু ওষুধের দাম। এ নিয়ে উদ্বেগ ব্যক্ত করেছে সেলস ও মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভদের সংগঠন সিআরইউ৷ তারা জানান, প্রত্যেক বছরই পেনকিলার থেকে অ্যান্টিয়োবাটিকের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হারের সূচক পরিবর্তন করে ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি। কিন্তু এবারে বেশ কিছু জীবনদায়ী ওষুধেরও নাম রয়েছে মূল্যবৃদ্ধির তালিকায়। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে এনপিপিএ ওষুধের পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি করেছিল ১১.১১ শতাংশ। এবার এনপিপিএ-র বিবৃতি অনুযায়ী, এই বছর বেশির ভাগ ওষুধের দাম একলাফে বাড়ছে ১২ শতাংশ পর্যন্ত। মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে হার্টের অসুখের বিভিন্ন ওষুধ, যন্ত্রণানাশক, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-ইনফেক্টিভ ওষুধও। কথা প্রসঙ্গে শিলচরে সিআরইউ’র জেলা সম্পাদক সারস্বত মালাকার জানালেন, ২০১৪ সালের পর থেকে দেশের অর্থনীতি এমনিতেই তলানিতে ঠেকেছে। দেশের জিডিপির অবস্থা প্রত্যেকের জানা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম আকাশছোঁয়া। তার মধ্যে ক্রমশ বাড়ছে ডিজেল, পেট্রোল, রান্নার গ্যাসের দাম সহ বিদুৎ বিল। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের অবস্থা ভয়াবহ। সেই তালিকায় এবার ওষুধ যুক্ত হওয়ায় সেলস ও মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভরা সহ দেশের প্রত্যেক সাধারণ মানুষ চিন্তিত।

সিআরইউ’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুব্রত রায় বলেন, মূল্যবৃদ্ধির ফলে এবার আরও ভয়ঙ্করভাবে বিপদে পড়বেন সাধারণ মানুষ।  বেশির ভাগই চিকিৎসা শুরু করে শেষ করতে পারবেন না আর্থিক সামর্থের অভাবে।
এদিকে তালিকায় অনেক দামি ওষুধ রয়েছে যেগুলোর পেটেন্ট নিয়েছে বিদেশি কোম্পানি। রপ্তানি, কাঁচামাল আরও বেশ কিছু আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে সেই সমস্ত ওষুধের। তার মধ্যে ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখের ওষুধও রয়েছে। এমনকি সারা জীবন ধরে খেয়ে যেতে হবে এমন সর্বমোট ১০০০ ওষুধের ফর্মুলেসনের দামও বাড়ানো হয়েছে ১২ শতাংশ।

১ এপ্রিল শনিবার শিলচর সিআরইউ’র সদস্যরা ওষুধের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির সরকারি নির্দেশ সহ বেআইনিভাবে অবাধে অনলাইনে ওষুধ বিক্রি বন্ধ করা, ওষুধের উপর কোন ধরনের জিএসটি না বসানোর দাবি জানিয়ে কাছাড়ের জেলাশাসকের কাছে এক লিখিত দাবিসনদ পেশ করে অতিসত্বর এইসব জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য দাবি জানান।