NE UpdatesHappeningsBreaking News
জিরিবাম থেকে সেনাশিবির তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তে এলাকাবাসী আন্দোলনমুখর
ওয়েটুবরাক, ১৮ ফেব্রুয়ারি : বেশ কয়েকদিন ধরে মণিপুর রাজ্যের জিরিবাম জেলার বসবাসকারী বাঙালি আবালবৃদ্ধবনিতা শুয়াখালস্থিত ৩৯ নং আসাম রাইফেলস ক্যাম্প বহাল রাখার দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আসাম রাইফেলস ক্যাম্প এখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে এক বিরাট ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মনে করছে ‘আমরা বাঙালি’। সংগঠনের রাজ্য সচিব সাধন পুরকায়স্থ বলেন, এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা, মানুষের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তার স্বার্থে, জিরিবামের সন্ত্রাসবাদী, উগ্রপন্থী ও দেশবিরোধী শক্তির কবল থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়া ওই অঞ্চলকে দেশের অন্তর্ভুক্ত রাখতে আসাম রাইফেলসের ভূমিকা কোনও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ অস্বীকার করতে পারবেন না৷ কিন্তু আজ কী কারণে সরকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষাকারী এই সামরিক বাহিনীকে এখান থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল ? এই প্রশ্ন করে তিনি বলেন, এই অঞ্চলকে দেশবিরোধী শক্তির হাতে তুলে দিতেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত৷ “আমরা বাঙালী” সংগঠন এর তীব্র নিন্দা জানায়। অতীত এইসব শক্তির অত্যাচারে জাকুরাডহর অঞ্চল থেকে ১০৯ পরিবার উৎখাত হতে হয়েছিল। যাদের জমির পাটটা থেকে আরম্ভ করে সমস্তরকম কাগজপত্র ছিল, যারা আজ আসাম রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। তাদের ফেলে আসা বাড়িঘর মনিপুরী সম্প্রদায়ের লোক দখল করে নিয়েছে। সুতরাং আসাম রাইফেলস থাকায় বাকি যারা রয়ে গেছেন, তাদের অন্তত মণিপুর ছাড়তে হচ্ছে না। এমনিতে জিরিবাম জেলা ছাড়া কোথাও বিশেষ বাঙালিদের বসবাস নেই । সংখ্যার দিক দিয়ে অত্যন্ত নগণ্য সংখ্যায় বাঙালিরা বসবাস করেন । তথাপিও সরকারের এই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্তের অর্থ হলো, জিরিবামে বসবাসকারী বাঙালীরা যাতে মণিপুর ছেড়ে চলে যায়। কারণ বিগত দুইবার একজন বাঙালি জিরিবাম থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন। এটা তাদের সহ্য হচ্ছে না, আর এই সব কাজে মণিপুর সরকারের প্রচ্ছন্ন মদত আছে বলেই “আমরা বাঙালী” মনে করে ।
পুরকায়স্থের কথায়, অতীতের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশের স্বার্থে,ভারতীয় জাতীয়তাবাদের স্বার্থে, ভারতীয় নাগরিকদের স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন আসাম রাইফেলসের ক্যাম্প জিরিবামে বহাল রাখতে হবে৷ সেই দাবিতে তারা কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহমন্ত্রক ও ভারতের রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সেই সঙ্গে বিভেদমূলক ইনার লাইন পারমিট প্রথা মণিপুর থেকে প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।