জাতপাতের অঙ্কে ধর্ষণ-খুন! লঙ্গাই নদী থেকে উদ্ধার তরুণীর মৃতদেহ

৪ অক্টোবর: একেবারে যেন হাথরস কাণ্ড! করিমগঞ্জ জেলার ফকিরবাজারে উদ্ধার হল তরুণীর মৃতদেহ৷ পরনে জামাকাপড় কিছু নেই৷ সারা শরীর জুড়ে ক্ষতচিহ্ন৷ লঙ্গাই নদীতে ভেসে যাচ্ছিল৷ প্রথমে অজ্ঞাতপরিচয় মৃতদেহ হিসাবেই এসডিআরএফ-পুলিশ নদী থেকে তুলে এনে করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়৷ সেখানে গিয়ে লঙ্গাই পুলিশ ফাঁড়ির আম্বরখানার শৈলেন নমঃশূদ্র তাঁর মেয়েকে শনাক্ত করেন৷ ২৭ সেপ্টেম্বর নিখোঁজ হয়েছিলেন ২১ বছরের শিবাণী৷ খোঁজাখুজি করে না পেয়ে শৈলেনবাবু পুলিশে জানিয়েছিলেন৷ শুক্রবার মৃতদেহ উদ্ধারের পর দুদিন ধরে করিমগঞ্জ জেলায় ক্ষোভ আছড়ে পড়ে৷ রবিবার তা ছড়ায় বরাক জুড়ে৷

করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার কুমার সঞ্জিতকৃষ্ণ জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত চলছে৷ একজনকে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি৷ শৈলেনবাবুদের অভিযোগ, তাঁদের মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে৷ সে পাশের গ্রামের নাথ পদবীর এক যুবককে ভালবেসেছিল৷ বিয়ের কথা উঠতেই বেঁকে বসে তার পরিবার৷ জাতপাতের কথা তোলে৷ তাদের সন্দেহ, এরাই পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দিয়েছে তাকে৷

এসইউসিআই-র ছাত্র, যুব ও মহিলা শাখা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে৷ তাদের বক্তব্য, এজাহার পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করলে এমনটা ঘটত না৷ তাঁরা লঙ্গাই ফাঁড়িতে গিয়ে ইনচার্জের কাছে এই ঘটনার দ্রুত তদন্তের দাবি জানান৷ তাদের অনুমান, পরিকল্পিতভাবে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা৷ পরে ধর্ষণ ও খুন করে৷