Barak UpdatesHappeningsBreaking News
চিকিৎসা না পেয়ে পাথারিয়া বনাঞ্চলে হাতির মৃত্যু
১৪ ডিসেম্বরঃ উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে মারা গেল বুনো হাতি৷ করিমগঞ্জ জেলার পাথারিয়া রেঞ্জে ঘুরে বেড়ায় যে হাতির দল, সে তাদেরই একটি। অসুস্থতার দরুন দল তাকে রাখতে চায়নি। এক মাস ধরে দিনে কাছাকাছি জঙ্গলে ঘুরে বেড়াত, রাতে চলে আসত লোকালয়ে। গ্রামবাসী তার অসুস্থতার কথা বনবিভাগকে জানায়। কিন্তু বনকর্মীরা ওষুধপত্রের বদলে তাকে তাড়িয়ে জঙ্গলে ঢুকিয়েই দায় সারছিল। শুক্রবার পুতনি চা বাগানে ঢুকে এক প্রতিবন্ধী চা শ্রমিককে মেরে ফেলে। তখন এলাকাবাসীর ক্ষোভ চরমে ওঠে৷
ডিএফও জলনুর আলি সে দিন জানিয়েছিলেন, বিশেষজ্ঞ পাঠাতে তিনি বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছেন। বন ও পরিবেশ মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যও জানান, তিনি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। কিন্তু শনিবার থেকেই হাতিটির অসুস্থতা বেড়ে যায়৷ চম্পাবাড়ি এলাকায় দিনরাত শুয়ে কাটাল৷ নড়াচড়া করতে পারছিল না৷ পাথারকান্দির রেঞ্জ অফিসার দেবজ্যোতি নাথ জানান, স্থানীয় পশুচিকিতসককে নিয়ে চম্পাবাড়িতে গিয়েছিলেন৷ ডাক্তার ওষুধ দেয়৷ কিন্তু সোমবার সকালে হাতিটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মৃতদেহের ময়না তদন্ত করে পশুচিকিৎসা বিভাগ জানিয়েছে, হাতিটি মূলত বার্ধক্যে ভুগছিল। লিভারে সমস্যা দেখা দেওয়ায় পরিমাণ মত খেতে পারেনি। রেঞ্জার নাথবাবুর দাবি, বিশেষজ্ঞরা এলেও লাভ হতো না। কারণ হাতিটির বয়স একশো পেরিয়ে গিয়েছে। এর ওপর দলছুট, লিভারের সমস্যা। ফলে একে বেশিদিন টিকিয়ে রাখা মুশকিলই ছিল।
কয়েক বছর আগেও পাথারিয়া বনাঞ্চলে ১৪-১৫টি হাতি একসঙ্গে ঘুরে বেড়াত। তাদের কাছে বাংলাদেশে-ভারত বলে বিভাজন নেই। গত বছর তা কমে আসে পাঁচে। এ বার চারে চলে এল। সবকটি মাদীহাতি বলে বংশবৃদ্ধির সম্ভাবনাও নেই, জানিয়েছেন রেঞ্জার দেবজ্যোতি নাথ।