Barak UpdatesHappeningsBreaking News

চন্দ্রনাথপুর সংলগ্ন অঞ্চলে কোচিং সেন্টার চালাচ্ছে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটি

ওয়েটুবরাক, ২৪ মার্চ : কাছাড় জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় দরিদ্র শিশু-কিশোরদের উপযুক্ত শিক্ষার জন্য শ্রীমা সারদা কোচিং সেন্টার চালাচ্ছে রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটি৷ ২০১১ সালে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল৷ একে একে বেড়ে এখন তাদের মোট কোচিং সেন্টারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০-তে৷ শিক্ষক রয়েছেন ৩৪ জন৷ এই সময়ে বিভিন্ন সেন্টারে ১০৫০ জনের বেশি ছাত্র রয়েছে বলে জানিয়েছেন সোসাইটির সম্পাদক সুপ্রদীপ দত্তরায়৷

তাঁর কথায়, তাঁদের ২০ সেন্টারের মধ্যে ১৩টিই রয়েছে চন্দ্রনাথপুর ও সংলগ্ন অঞ্চলে৷ এর মধ্যে ১০টি শুরু করেছিলেন চন্দ্রনাথপুর এমই স্কুলের প্রধানশিক্ষক মৌসম দত্ত৷ করোনার সময় সেগুলি বন্ধ হয়ে গেলে তিনি পরে আর সেগুলি চালু করেননি৷ রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটি তখন সেগুলি চালানোর দায়িত্ব নেয়৷ পরে ওই এলাকায় নতুন আরও তিনটি কোচিং সেন্টার খোলেন তাঁরা৷ ওই ১৩ সেন্টারের কোনওটির সঙ্গে এখন চন্দ্রনাথপুর এমই স্কুল বা প্রধান শিক্ষক মৌসম দত্তের কোনও সম্পর্ক নেই৷ রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটি বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠনের সহযোগিতায় সেগুলি চালিয়ে যাচ্ছে৷

শনিবার শিলচরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এইসব তথ্য জানান সুপ্রদীপবাবু৷ সাংবাদিক সম্মেলন সোসাইটির সভাপতি অরিন্দম ভট্টাচার্য, সহসভাপতি শরদিন্দু দে, ট্রাস্টি সদস্য জয়ন্ত রায়ও মত বিনিময় করেন৷ তাঁদের আক্ষেপ, মৌসম দত্ত দূরদর্শনকে এক সাক্ষাৎকারে তাঁর চালু করা ওই দশ সেন্টার তিনি বা তাঁর স্কুলই চালাচ্ছে বলে দাবি করেছেন৷ তাতে তাঁদের সহায়তাকারী সংস্থাগুলির কাছে ভুল বার্তা যেতে পারে আশঙ্কায় তাঁরা স্পষ্টীকরণ দিয়ে বলেন, ওই সেন্টারগুলির সাফল্যে অন্য কেউ কৃতিত্ব দাবি করতে পারে না, সেই কৃতিত্ব রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটির এবং তাদের শিক্ষকদের৷ পাশাপাশি এই কথা তাঁরা বারবার উল্লেখ করেন যে, মৌসমবাবুর হাত ধরেই তাঁরা ওই অঞ্চলের শিক্ষার প্রসারে উদ্যোগ নেন৷

পরে মৌসমবাবুর কাছে দূরদর্শনের ওই সাক্ষাৎকার নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দূরদর্শনে শুধু তিনি নিজে নন, শ্রীমা সারদা কোচিং সেন্টারের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটির কথা উল্লেখ করেছেন৷ কিন্তু সম্পাদনা বা সম্প্রচারের জায়গায় তাঁর কোনও হাত ছিল না৷ ফলে দূরদর্শন কেন কী কেটে দিল, কতটা দেখাল, এর দায় তাঁর নয়৷ তিনি সঙ্গে এও বলেন, কোচিং সেন্টারগুলিতে বিনা  মাশুলে পড়ানো হয় না৷ ৩০ টাকা মাসে নেওয়া হয়‌৷ এ নিয়ে আপত্তি জানানোর দরুনই সোসাইটির সঙ্গে এখন তাঁর কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker