NE UpdatesHappeningsBreaking News
গ্রেফতারের পর চাকরিটাও খোয়াতে হল জোনমণিকে
ওয়েটুবরাক, ৬ জুন : হবু বরকে গ্রেফতার করে সকলের নজর কেড়েছিলেন নগাঁও মহিলা থানার ইনচার্জ, সাব-ইন্সপেক্টর জোনমণি রাভা৷ একই প্রতারণা মামলায় শনিবার জোনমণিকেই গ্রেফতার করা হয়৷ রবিবার চাকরিটাও খোয়াতে হয় তাকে৷ নগাঁও জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, মাজুলি থানা তাকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠিয়েছে, এই খবর নিশ্চিত করার পরই জোনমণিকে চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷ তিনি জানান, রাজ্য পুলিশের সাসপেনশনের সকল নিয়মনীতি তার ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে৷
গ্রেফতারের পর জেরায় জোনমণি জানিয়েছিলেন, তাঁর অজ্ঞাতেই তাঁর নামে থাকা অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে প্রতারণার টাকা জমা করেছিলেন রানা। প্রায় বিশ লক্ষ টাকা রানা মারফত তাঁর অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল। গ্রেফতার হওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “আমি নির্দোষ। ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছি। ৮ অক্টোবর আমাদের বাগদান হয়। আমার তখন পর্যন্ত শুধুমাত্র স্যালারি অ্যাকাউন্ট ছিল। দুটো লোনও চলছিল। রানা জানায়, ওর হাতে থাকলে টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। তাই দুজনের ভবিষ্যতের জন্যে অন্য অ্যাকাউন্ট খুলে দেব। ও প্রথমে কানাড়া ব্যাঙ্ক ও পরে অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কে আমায় নিয়ে গিয়ে অ্যাকউন্ট খুলে দিয়েছিল। ওকে অন্ধভাবে ভরসা করাই কাল হল।”
জোনমণি আরও জানান, তাঁর বাড়িতে দাদার চিকিৎসার জন্য জমি বেচার টাকা জমানো ছিল। বাগদানের দিনেই আলমারির লকার ভাঙার ঘটনা ঘটে। তাই বাগদানের পরে রানা বলে এত টাকা বাড়িতে রাখা নিরাপদ নয়। আমার মা ভরসা করে হবু জামাইয়ের হাতে সেই টাকা ফিক্সড করার জন্য তুলে দিয়েছিলেন।” রানার পাশাপাশি জোনমণির নামে রাম অবতার শর্মা, অজিত বরা, রঞ্জন কুটুম অভিযোগ দায়ের করলেও জোনমণি বলেন, “রানা বাড়িতে টাকা নিলেও আমায় বলেছিল, ওই টাকা বিভিন্ন প্রকল্পের সিকিওরিটি ডিপোজিট। নগাঁওতে আমার ভাড়াবাড়িতে থেকেও কাজ চালিয়েছিল ও। কিন্তু যে দিন রঞ্জন কুটুমের কাছ থেকে প্রতারণার কথা জানতে পারি তখনই পুলিশকে সব জানিয়েছি।” জোনমণি কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, “যদি প্রতারণার টাকার ভাগ নিতাম, নিজের ঋণ কবেই মিটিয়ে ফেলতাম, দাদার ভাল করে চিকিৎসা করাতাম।”