Barak UpdatesHappeningsBreaking News
গ্রিনফিল্ড এয়ারপোর্ট : জেলা প্রশাসনের স্পষ্টীকরণ চেয়ে স্মারকপত্র
ওয়েটুবরাক, ৮ জুন: ডলু চা বাগানে প্রস্তাবিত গ্রিনফিল্ড বিমানবন্দর স্থাপনের কোনও প্রস্তাব অসামরিক বিমান পরিবহন বিভাগের নিকট রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে না পাঠানোর তথ্য আরটিআই মারফত প্রকাশিত হওয়ার পর এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের বক্তব্য জানতে ডলু চা বাগান বাঁচাও সমন্বয় কমিটি মঙ্গলবার এক স্মারকপত্র প্রদান করে৷ চিফ কো-অর্ডিনেটর তথা আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ড. তপোধীর ভট্টাচার্য ও শিলচরের সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ দীপঙ্কর চন্দের স্বাক্ষরিত স্মারকপত্রটি জেলাশাসকের অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত জেলাশাসক দীপক জিডুংয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
কমিটির পক্ষ থেকে প্রদান করা স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিমানবন্দর নির্মাণের নামে ডলু চা-বাগানের জৈব বৈচিত্র্য ধ্বংসের দায়িত্ব নিয়েছিল কাছাড় জেলা প্রশাসন৷ তাই তাদের এ ব্যাপারে স্পষ্টীকরণ দিতে হবে। কমিটির পক্ষ থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে তাদের কাছেই স্পষ্টিকরণ চেয়েছিল বলে জানায় কমিটি। কিন্ত তাদের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি প্রকাশিত না হওয়ায় এবার লিখিত ভাবে চাওয়া হয়েছে।
কমিটির পক্ষ থেকে এও বলা হয় যে, শাসক দলের সাংসদ আরটিআই-র উত্তরে অসামরিক বিমান পরিবহন বিভাগের পক্ষ থেকে শিলচরে বিমানবন্দর স্থাপনের কোনও কাগজ সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরতে পারেননি। যে সব কাগজ তারা তুলে ধরেছেন সবগুলো পুরনো এবং কোথাও অসামরিক বিমান পরিবহন বিভাগের পক্ষ থেকে ডলুতে বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনার উল্লেখ নেই। তাঁরা বলেন, ডলু চা বাগান বাঁচাও সমন্বয় কমিটি প্রথম থেকেই স্পষ্ট ভাবে বলে আসছে, বিমানবন্দর তৈরি করা হোক, কিন্তু তা চা শিল্পকে ধ্বংস করে নয়। জেলার পতিত জমিতে প্রস্তাবিত গ্রিন ফিল্ড বিমানবন্দর তৈরি না করে চুপিসারে চুক্তি গোপন রাখার শর্তে তিনটি শ্রমিক সংগঠনের সাথে ডলু চা বাগানের মালিকের চুক্তি করিয়ে জমি দখলের চেষ্টায় জেলা প্রশাসন সামিল থাকার কথা জনমানসে আলোচিত হচ্ছে। তাই নেতারা আবোল তাবোল বকে গেলেও জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব আসল সত্য ডকুমেন্ট দেখিয়ে সামনে তুলে ধরা।
কমিটির পক্ষ থেকে এও বলা হয়, শাসক দলের নেতাদের কথায় জেলা প্রশাসন যে এই অন্যায় কাজে সাহায্য করেনি তা জনগণ জানতে চাইছে। সমন্বয় কমিটির পক্ষ থেকে এ দিন আর একটি স্মারকপত্র ডিএফও এর নিকট প্রদান করে জানতে চাওয়া হয়, কীভাবে কোনও নির্মাণ কাজের পরিকল্পনা ছাড়া এনভায়রেনমেন্ট এসেসমেন্ট রিপোর্ট না থাকা সত্ত্বেও ডলু চা বাগানের গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হল। তাদের কাছেও তথ্য সহকারে তা জনগণের সামনে তুলে ধরতে আহ্বান জানানো হয়।
স্মারকপত্র প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন মিহির নন্দী, কনক পাল, প্রদীপ নাথ, অরিন্দম দেব, কল্পার্ণব গুপ্ত, হিল্লোল ভট্টাচার্য প্রমুখ।