India & World UpdatesAnalyticsBreaking News
গীতা হোক জাতীয় পুস্তক, চালু হোক পাঠ্যক্রমেও, চিঠি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের
১ অক্টোবর ঃ ভাগবদ গীতাকে দেশের জাতীয় পুস্তকের মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেসঙ্গে তাদের দাবি, পাঠ্যক্রমে বাধ্যতামূলক করা হোক গীতা। গীতা পাঠ্যক্রমে যুক্ত করা হলে নিষ্ঠা বাড়বে শিক্ষকদের। আরও বেশি দায়িত্ব সহকারে পড়াবেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে এই আর্জিই জানাল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় সচিব এবং বিশ্ব গীতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক আচার্য রাধাকৃষ্ণ মনোরী প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছেন। এই দাবিতে রয়েছে, পাঠ্যক্রমে বাধ্যতামূলকভাবে গীতা পড়াতে হবে। পাশাপাশি, গীতাকে জাতীয় পুস্তকের মর্যাদা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে, গীতা ধর্ম নিরপেক্ষ গ্রন্থ ও গীতার পাঠ যে কতটা জরুরি, তা সর্বজনবিদিত। এই বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছে সময়ও চেয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্যরা। তাঁরা গীতার গুরুত্ব বোঝাতে চান। গীতাপাঠ যে সমাজকে কতটা উন্নীত করতে পারে, সেই আলোচনা করবেন তাঁরা।
আচার্য রাধাকৃষ্ণ মনোরীর দাবি, ভালো বেতন এবং সুযোগ সুবিধা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষকরা তাঁদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারছেন না। শিক্ষকদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুভূতির উন্নতি এবং দায়িত্ব পালনের অনুভূতির জন্য, গীতা পাঠ বাধ্যতামূলক করা উচিত পাঠ্যক্রমে। প্রশিক্ষণের সময় গীতার সমস্ত অধ্যায় পড়াতে হবে এবং প্রত্যেক শিক্ষককে বাধ্যতামূলকভাবে দিতে হবে গীতার পাঠ। এই পাঠেই সমাজের উন্নতি হবে বলে মনে করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সংগঠনের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে, গীতার আলো জাগ্রত করার জন্য, বিশ্ব গীতা ইনস্টিটিউট গীতাকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চায়। সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে ওই সংগঠন। আরও বলা হয়েছে যে, ‘সেই সঙ্গে আমাদের সমাজে মিশে যাওয়া পশ্চিমি সংস্কৃতির কুফলকে আটকাতে গীতা দেশের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।