Barak UpdatesHappeningsBreaking News
গানে, নৃত্যে কবিগুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ উইমেন্স কলেজের
ওয়েটুবরাক, ১০ আগস্ট : বাইশে শ্রাবণ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবসে গানে-নৃত্যে কবিগুরুকে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করলেন উইমেন্স কলেজের ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মীবৃন্দ।
সোমবার বাংলা বিভাগের উদ্যোগে কলেজের ভগিনী নিবেদিতা প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ ড. মনোজ কুমার পাল, উপাধ্যক্ষ ড. সুতপা সিকদার সহ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা কবিগুরুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ প্রদানের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে সভার উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অধ্যক্ষ ড. পাল বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের প্রতিদিনের চেতনায় চিরন্তন। বাঙালি কোনো মুহুর্তে কবিগুরুকে স্মরণ না করে থাকতে পারে না। সুখে-দুঃখে, আনন্দে-বিষাদে, এমনকি প্রকৃতির রং বদলের মধ্যেও কবিগুরুকে আমাদের পাশে পাই। তিনি আমাদের সবার মনের কথা বলে গিয়েছেন তাঁর কবিতায় ও গানে। তিনিই বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে নিয়ে গিয়েছেন। তিনি বাঙালি ও বাংলা সাহিত্যকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন। ভারতবর্ষের নাম গৌরবোজ্জ্বল করেছেন নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শুধু পাঠ্যক্রমের মধ্যে সীমাবদ্ধ রেখে তার অসীম সৃষ্টিকে বোঝা সম্ভব নয়। তাঁর সাহিত্যের সম্পূর্ণ রূপে উপলব্ধির জন্য একটি জীবন সম্ভব নয়। রবীন্দ্রনাথের আঁকা ছবি এখন গবেষণার বিষয়। আজ মানবসমাজ বৃক্ষ রোপণ, সবুজায়ন ও বন ধ্বংসের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, কবিগুরুই ছিলেন পূর্ব দ্রষ্টা৷ তিনি বৃক্ষের মহত্ব বহু যুগ আগেই বুঝতে পেরে শান্তিনিকেতনে বৃক্ষ রোপণ উৎসব শুরু করে গিয়েছেন। ড. পাল আরো বলেন, ভারতে ছাত্রসমাজ সহ প্রত্যেক মানুষের উচিত রবীন্দ্র আদর্শে দীক্ষিত হওয়া। তাহলেই তাঁর প্রতি আমাদের প্রকৃত শ্রদ্ধার্পণ হবে।
ড. সিকিদার ও ড. শান্তনু দাস প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা ও ছাত্রীদের এই ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কবিগুরুকে স্মরণ করার জন্যে ধন্যবাদ দেন। বাংলা বিভাগের অধ্যাপিকা ড. সুস্পিতা দাস অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানের শেষে বিভাগীয় প্রধান ড. শর্বাণী বিশ্বাস ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।