Barak UpdatesHappeningsBreaking News
খেল মহারণের হেল্প ডেস্ক ডিএসএ-তে, ভলিবলে নাম পঞ্জীকরণ দীপায়নের
ওয়ে টু বরাক, ২৪ সেপ্টেম্বর : রাজ্যের ক্রীড়ার মানকে চাঙ্গা করতে এবং নতুন খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করতে বর্তমান সরকার গোটা রাজ্যজুড়ে ‘খেল মহারণ’ শুরু করেছে। এরই অঙ্গ হিসেবে শিলচর ডিএসএ-র পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে হেল্প ডেস্ক। রবিবার এই ডেস্কের মাধ্যমে নাম পঞ্জীকরণ করিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এর সূচনা করেছেন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী।
রবিবার ডিএসএ স্টেডিয়ামে এ উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী বলেন, সারা দেশের মধ্যে আসাম সরকার প্রথম এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আসামকে দেশের সেরা হিসেবে তুলে ধরতেই এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আন্ডার ১৯ ও এভাব ১৯– দুটো ক্ষেত্রেই ব্যাপক হারে যাতে অংশগ্রহণ হয়, সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, শুধু পুরস্কারই উদ্দেশ্য নয়, প্রতিভার বিকাশ হওয়াটাও জরুরি। এ দিন হেল্প ডেস্কের শুরুতে বিধায়ক খেল মহারণে ভলিবলে নাম লিখিয়েছেন।
এ দিন জেলা ক্রীড়া সংস্থার এজিএস প্রশাসন দেবাশিস সোমের স্বাগত ভাষণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তিনি জানান, কবাডি, ভলিবল, খো খো, অ্যাথলেটিক ও ফুটবল, এই ৫টি ইভেন্টে নাম রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া চলবে। এর মাধ্যমে ৩ লক্ষ নাম নথিভুক্ত করা হবে। বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি শিবব্রত দত্ত বলেন, খেল মহারণ গ্রামের ছেলেমেয়েদের ক্রীড়ায় উৎসাহিত করতে একটি বড় পদক্ষেপ। তিনি বলেন, রেজিস্ট্রেশন মানেই খেলা নয়। তবে সবাই নাম পঞ্জীকরণ করে খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করা দরকার। পঞ্চায়েত স্তর থেকে ক্রমান্বয়ে বিধানসভা এলাকা, জেলা ও রাজ্য স্তরে প্রতিযোগিতা হবে। ডিএসএ সচিব অতনু ভট্টাচার্য বলেন, গতকালও নাম পঞ্জীকরণে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক ছিল না। কিন্তু আজ নতুন নির্দেশে আধার কার্ডের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এ দিন এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অজয় রায়, অজয় চক্রবর্তী, অনিমেষ চক্রবর্তী, সুদর্শন চৌধুরী, নির্মাল্য নাথ, সত্যজিৎ দাস, নিরঞ্জন দাস, রঞ্জি ক্রিকেটার প্রীতম দাস, মাধব সাহা, ডিএসও প্রতিনিধি অর্ণব নাথ প্রমুখ। অর্ণব জানিয়েছেন, নাম পঞ্জীকরণে আধার কার্ডের সঙ্গে দু কপি ফটো লাগবে এবং ফোন নম্বর দিতে হবে।