NE UpdatesHappeningsBreaking News
খুন করে গাড়িতে বসিয়ে রাখা হয়েছিল জুনমণিকে!
ওয়েটুবরাক, ২০ মে: অসম পুলিশের এসআই ও মরিকলং থানার ওসি জুনমণি রাভার মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য ক্রমেই বাড়ছে। ১৫ মে রাতে জখলাবান্ধার রাস্তায় জুনমণির গাড়িতে ধাক্কা দেওয়া কন্টেনার ট্রাকের চালক সুমিত কুমার পাল পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। তিনি এখনও দাবি করছেন, জুনমণিই গাড়ি চালিয়ে উল্টোদিক থেকে এসে ট্রাকে ধাক্কা মারেন। কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, জুনমণির মাথার পিছনে ভারি জিনিসের আঘাত ও ক্ষত ছিল। সেখান থেকে অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে। বেশ কিছু হাড় ভাঙা ও অন্যান্য আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। ফলে জুনকে আগেই হত্যা করে পরে গাড়িতে বসিয়ে দুর্ঘটনার নাটক তৈরির তত্ত্ব আরও জোরালো হয়েছে। ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী প্রণব দাসকেও ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় সিআইডি। প্রণব ফের দাবি করেন, তাঁর চোখের সামনেই ১০ মিনিট দাঁড়িয়ে ছিল জুনমণির গাড়ি। সুমিতের ট্রাকই এসে গাড়িতে ধাক্কা মেরেছে। জখলাবান্ধা থানায় শনাক্তকরণ প্যারাডে সুমিতকে সঠিকভাবে চিহ্নিত করেন প্রণব। জুণমনিকে রাত ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে নগাঁওতে রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করে পরে গাড়িতে বসিয়ে রাখা হয়েছিল বলে এক পুলিশকর্মীর অডিয়ো কল রেকর্ডিং ভাইরাল হয়েছিল। তাঁকেও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
জুনের পরিবার বারবার দাবি করছে, জুনকে খুন করা হয়েছে এবং ঘটনায় এসপি থেকে শুরু করে অনেকে জড়িত। জুনমণি রাত ১০টার পর থেকে নিখোঁজ হন। রাত সাড়ে ১২টায় তাঁকে রিজার্ভ ক্লোজ করে অর্ডার দেন এসপি লীনা দোলে। গত কাল তিনি জেলার ১৪৮ জন কনস্টেবলকে বদলি করেন। জুনের মৃত্যুর পরে রাত ৩টের সময় তিনি পুলিশ নিয়ে জুনের ঘরে চড়াও হন ও প্রায় চার লক্ষ টাকা নিয়ে যান। লীনা বলেন, সিআইডি তদন্ত চলছে। তিনি এ নিয়ে অন্য কোথাও মন্তব্য করবেন না। ঘটনার সঙ্গে লখিমপুরের নকল সোনা ও জাল নোট চক্রে জড়িত থাকা ও সেখানকার পুলিশের হাত থাকার অভিযোগ উঠেছে। লখিমপুরের ওসি, এসএপিকেও জেরা করছে সিআইডি। বদলি হয়েছেন এএসপি।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, “পরিবারের অনেক দাবি থাকতেই পারে। আমি সিআইডিকে বলেছি, তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে পরিবারকে ডেকে বোঝানো হোক। তাঁরা সন্তুষ্ট না হলে আমরা সিবিআই তদন্ত দিতে তৈরি।” তিনি আরও জানান, “এই ঘটনায় অনেকগুলি দিক রয়েছে। তাই বহুমুখী তদন্ত প্রয়োজন। এমন অনেক অপ্রিয় প্রসঙ্গ রয়েছে যার জবাব দেওয়ার জন্য জুনমণি আর আমাদের মধ্যে নেই।”
জুনের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত দাবি করে শুক্রবার সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায় আপ। একই দাবি তুলেছে কংগ্রেস, তৃণমূল ও অন্যান্য বিরোধীরা।