Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কয়লার জন্য সঙ্কটে বরাকের ইটভাটা, সংগঠিত হলেন মালিকরা
ওয়েটুবরাক, ১২ অক্টোবরঃ বরাক উপত্যকায় ১৯০টি ইটভাটা রয়েছে। বছরে চারমাস কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করে ওই সব ইটভাটায়। মালিকরা বিভিন্ন বিভাগকে মোট ১৪ ধরনের কর বা মাশুল দেন। কিন্তু তাদের সুযোগ-সুবিধার দিকে সরকারের কোনও নজর নেই বলে অভিযোগ করলেন বরাক ভ্যালি ব্রিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। উদয়শঙ্কর গোস্বামী, রাধেশ্যাম বিশ্বাসরা বলেন, ইটভাটা চালানোর ক্ষেত্রে এই সময়ে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কয়লা জোগানো। ইটভাটাকে নিয়মিত কয়লা দেওয়া হয় না। এর দরুন পাঁচ-ছয় হাজার টাকা দরের কয়লা ঘুরপথে পনেরো-কুড়ি হাজার টাকা টন দরে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে তাদের খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। নোডাল এজেন্সির মাধ্যমে চা বাগানগুলি কয়লা পেলেও ইটভাটাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। এমনকী করোনার সময় বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান নানা ধরনের কর রেহাই, ভর্তুকি পেলেও তাদের দিকে কেউ তাকাননি। পরিবেশ বান্ধব জিগজাগ ভাটা তৈরির জন্য আবার চাপ অব্যাহত রেখেছে। তাঁদের কথায়, জিগজাগ ভাটা বন্যা ও ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকায় মোটেও নিরাপদ নয়। সঠিক পদ্ধতিতে গড়া না গেলে প্রাণহানিরও আশঙ্কা রয়েছে। তাই জিগজাগ ভাটা করতেই হলে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিভাগকে উপযুক্ত পরিকাঠামো, প্রশিক্ষণ ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানান তাঁরা।
প্রাক্তন সাংসদ রাধেশ্যাম বিশ্বাস বলেন, সুলভ মূল্যে কয়লা পেলে সুলভ মূল্যে ইট সরবরাহ করা যাবে৷ কয়লা সঙ্কটের সমাধানে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন৷ তাঁর আক্ষেপ, কাছাড়-করিমগঞ্জের ওপর দিয়ে শত শত লরি কয়লা বাংলাদেশে রফতানি হয়, কিছু পায় ত্রিপুরাও৷ কিন্তু বরাক উপত্যকার ইটভাটার জন্য কোনও বরাদ্দ মেলে না৷
এ দিন অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য উপত্যকার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন৷ আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশনের সর্বভারতীয় সভাপতি অশোক তিওয়ারি ও আসাম প্রদেশ সভাপতি করুণা কলিতা৷ ছিলেন বরাক উপত্যকার সভাপতি রামস্বার্থ সিংও৷