Barak UpdatesHappeningsSports
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ফের ঝাঁপাচ্ছে উদয়ন সংঘ
ওয়েটুবরাক, ১২ এপ্রিলঃ বেশ কিছুদিন উদয়ন সংঘ একটু ঝিমিয়ে চলছিল। এ বার সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ফের খেলাধূলা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে ঝাঁপাবেন তাঁরা। গত রবিবার খেলার মাঠে আয়োজিত সাধারণ সভায় এলাকার মানুষের সঙ্গে কাছাকাছি এলাকার ক্লাবগুলিও জানিয়ে দিয়েছে, যে কোনও ধরনের কর্মকাণ্ডে তাঁরা উদয়ন সংঘের পাশে থাকবেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইটখলা ক্লাবের অনুপ সিং, বিজয়ী সংঘের রূপেন্দ্রকিশোর চন্দ, ভ্যানগার্ডের অমিত নাগ, সেভেন স্টার ক্লাবের সত্যেন্দ্র সিং প্রমুখ। সাধারণ সভায় পৌরোহিত্য করেন উদয়ন সংঘের সভাপতি শান্তনু দাস।সঞ্চালনায় ছিলেন সম্পাদক কল্যাণচন্দ্র ধর।
শান্তনুবাবু জানান, এটি বহু পুরনো ক্লাব। প্রথমে নাম ছিল হিন্দু্স্তান ক্লাব। 1932 সালে এর নতুন নামকরণ হয় উদয়ন সংঘ। বহু ভাল ভাল খেলোয়াড় এই মাঠে প্রশিক্ষণ ও খেলাধূলার মাধ্যমে ক্রীড়াক্ষেত্রে সুনাম কুড়িয়েছেন। তাঁর আক্ষেপ, এই ক্লাবের অনেকটাই এই সময়ে বেদখল অবস্থায়। এ নিয়ে কথা বললেই অশান্তির সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ দাবি করেন, মাঠটি নাকি পাশের রাধারমণ স্কুলের। চিঠি দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে এই দাবির পক্ষে নথিপত্র দেখাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু পারেননি। তাই তাঁরা চাইছেন, মাঠটি সুরক্ষিত থাক। এলাকায় আগের মত খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পরিবেশ ফিরিয়ে আসুক। তিনি প্রসঙ্গক্রমে বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে তারা মহিলা ফুটবলের কথা ভাবছেন। স্বনির্ভর প্রকল্পে এলাকার মহিলাদের নিয়ে কিছু করার ইচ্ছাও তিনি প্রকাশ করেন। সবাই ওইসবে সায় দেন। বক্তব্য রাখেন উদয়ন সংঘের সহসভাপতি বাসুদেব শর্মা, সুপর্ণা দত্তও। সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়। মণিপুরি মহিলাদের অনেকে পরম্পরাগত পোশাক পরে সে দিন সভায় হাজির ছিলেন।
তবে মাঠ নিয়ে বিরোধের ব্যাপারটি সভা চলাকালেই প্রকাশ্যে আসে। সভার মধ্যেই একদল যুবক ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়েন। তাদের দাবি, এই মাঠ রাধারমণ স্কুলের। স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কাছ থেকে তাঁরা অনুমতি সংগ্রহ করে খেলার আয়োজন করেছেন। মালুগ্রাম ফাঁড়ির পুলিশ অফিসারদের পরে মাঠে যান শিলচর সদর থানার ওসি দিতুমণি গোস্বামীও। কিন্তু কোনও সমাধানে আসা যায়নি। দুই পক্ষ একই সঙ্গে সভা ও ক্রিকেট চালিয়ে যান। এ নিয়ে বেশ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছিল।