Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কৌশিক রাইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন একাংশ বিজেপি কর্মী
১৫ সেপ্টেম্বরঃ বিজেপি-র কাছাড় জেলা সভাপতি কৌশিক রাইয়ের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ কংগ্রেসও কখনও করেনি। মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ডেকে একাংশ বিজেপি কর্মকর্তা ও কর্মী খোলামেলা বললেন, আর কত চাই তাঁর? একবার জেলা সভাপতি ছিলেন, পরে আলগাপুরে টিকিট চেয়েছেন৷ পেয়েছেন, হেরেছেন। পরে ফের সভাপতি হতে চাইলেন৷ নির্বাচিত জেলা সভাপতিকে সরিয়ে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হল৷ পঞ্চায়েত নির্বাচন এলে তাঁর ভাইয়ের জেলা পরিষদ সদস্যের টিকিট চাই৷ দেওয়া হল৷ পরে ভাইকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করলেন৷ এখন আবার নিজের বিধানসভা টিকিট চাই৷ সেজন্য লক্ষীপুরে জমি কিনে ৬-৭ মাসে বিশাল বাড়ি বানিয়ে নিয়েছেন।
কৌশিক রাইয়ের বেলায় কি কোনও দলীয় অনুশাসনের ব্যাপার নেই, এই প্রশ্ন তোলেন জেলা যুব মোর্চার সদ্যপ্রাক্তন উপসভাপতি পাপ্পু দেবরায়, কিষান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অনাদি ভট্টাচার্য, বাপ্পা সেন, সৌমিত্র নাথ৷ পাশে শমীন্দ্র নাথ, রঞ্জিত সিং, আনোয়ার হোসেন, সুমন সিংহ, জীবন অধিকারী৷ কেউ সোনাইয়ের, কেউ লক্ষীপুরের৷ কারও বাড়ি শিলচর শহরে৷ সকলের দাবি, দুই-আড়াই দশক ধরে দলের জন্য খেটে চলেছেন৷ এখন কৌশিকবাবুর মত নেতা কথা বলারও যেন সুযোগ পান না৷ কিছু বলতে গেলে তাকাতেও চান না৷ এ সবের দরুন তৃণমূল স্তরের কর্মীদের ক্ষোভ বাড়ছে, এ কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, তাতে দলের ক্ষতি হচ্ছে, সংগঠন দুর্বল হচ্ছে৷
তাঁদের অভিযোগ, একাংশ নেতার জন্য বিজেপি আমলে মানুষের অভাব-অভিযোগ গুরুত্ব পায়নি৷ সর্বত্র মানুষের অসন্তুষ্টি৷ কয়লা, পোস্ত, সুপারি সিন্ডিকেটের রমরমা ভয়ঙ্কর দিকনির্দেশ করছে৷ ভুবন পাহাড়ে অবাধে গাছ কাটা চলছে৷ লায়লাপুরের এমভিআই গেট নিয়েও অনেক কথা৷ তাদের আশঙ্কা, নরেন্দ্র মোদির উচ্চ ভাবমূর্তি না ওই সব নেতাদের জন্য নষ্ট হয়ে যায়!
কিন্তু এসব কথা দলীয় স্তরে আলোচনা না করে প্রকাশ্যে আনা কেন? পাপ্পু দেবরায়, বাপ্পা সেনরা বলেন, ‘কাকে বলবেন? হাইকমান্ড পর্যায়ের কেউ এলে আমাদের ঢুকতেই দেওয়া হয় না৷ এতকাল একটা জায়গা ছিল, কবীন্দ্র পুরকায়স্থ৷ এখন তাঁর কাছ থেকেও কোনও পরামর্শ নেওয়া হয় না৷ বলতে গেলে, ষড়যন্ত্রের শরশয্যায় শুইয়ে রাখা হয়েছে তাঁকে৷