Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কোভিড ওয়ার্ড থেকে সুস্মিতা দেবঃ বিদেশে থাকায় মা একটু বেশিই চিন্তা করছেন, খবর নিয়েছেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও
//সুস্মিতা দেব//
শিলচর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির পর কত ফোন যে! সাধারণ মানুষ থেকে এআইসিসি নেতৃবৃন্দ। দলীয় কর্মী, আত্মীয়-পরিজনেরাও খবর নিচ্ছেন। মা স্পেনে বলে একটু বেশিই চিন্তা করছেন। ম্যাসেজের পর ম্যাসেজ। দিদিরাও বারবার কথা বলছে। সবাই আসার জন্য উদগ্রীব। আমি না করে দিয়েছি। কী করবে এসে! এলেই তো ১৪ দিনের কোয়রান্টিন। কোয়রান্টিন না হলেও আমার কাছে তো কেউ আসতে পারবে না। আর আমার শরীর পুরো ঠিক আছে। জ্বর বা কোনও উপসর্গ নেই।
আমি নিজেই কাল টুইট করে পজিটিভ হওয়ার কথাটা জানাই। এর পর শুধু ফোন আর ফোন। আজ সকালে রাহুল গান্ধী ফোন করলেন। পরে বেণুগোপালজি। প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও কথা বললেন, খবর নিলেন। ভূপিন্দর হুদা বিস্মিত। বললেন, ‘কী হয়ে গেল তোমার। তুমি তো ফাইটার।’
My report as signed by Department of Microbiology, Silchar Medical College, Cachar, Assam says I have tested positive for COVID 19. I am asymptomatic as of now. I thank everyone for their concern & calls. 🙏🏻
— Sushmita Dev (@sushmitadevinc) July 8, 2020
মেডিক্যালে কোনও অসুবিধে হচ্ছে না আমার। কেবিন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। ডাক্তাররা খুব ভাল ব্যবহার করছেন। সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডা. স্বামীও ফোন করেছেন। খুব ভাল মানুষ তিনি। যতটুকু যত্ন নেওয়া সম্ভব, সবাই করছেন। আর আমার তো সব পরিস্থিতিতে থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় আমাকে সার্কিট হাউসে থাকতে হয়। একবার বস্তারে কী যে অবস্থা! সেখানে থাকার কথা ছিল না। হেলিকপ্টারে ফিরব, এমনই পরিকল্পনা ছিল। আবহাওয়া খারাপ থাকায় ফেরা হয়নি। অন্যরা বলছিল, সড়কপথে বেরিয়ে পড়তে। থাকার ভাল জায়গা নেই। আমি বলি, না, এখানেই থাকব। বস্তারের ফরেস্ট বাংলোয় রাত কাটাই। কী যে অবস্থা ওই বাংলোর! দুর্যোগের দরুন আমাকে সেই বাংলোতেই দুইদিন থাকতে হয়। ফলে আমার ওইসব নানা অভিজ্ঞতা রয়েছে।
খাওয়া নিয়েও আমার কোনও সমস্যা নেই। আমাকে অবশ্য অপশন দিয়েছে, ইচ্ছে করলে বাড়ির খাবারও আনা যেতে পারে। কাল তাই বাড়ি থেকেই খাবার দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখানকার যে খাবার দেখলাম, ভালই মনে হয়েছে। ও সবে সমস্যা হবে না। ভাবছিলাম, সময় কাটানো নিয়ে। তাই দুইটা বই সঙ্গে নিয়ে এসেছি। ‘১৯৭১— অ্যা পিপল’স হিস্ট্রি ফ্রম বাংলাদেশ, পাকিস্তান অ্যান্ড ইন্ডিয়া’। আরেকটা ‘ইন্ডিয়া সিনস ইন্ডিপেন্ডেন্স’। এই বইয়ের অর্ধেকটা অবশ্য পড়েছিলাম। বাকিটা পড়ার সময় পাইনি। এখন শেষ করব।