NE UpdatesHappenings

কে জানত, ভুয়ো পরীক্ষার্থী একেবারে প্রথম করে দেবে, আক্ষেপ পিতার

৩০ অক্টোবর: বাবা ডাক্তার, মা অ্যানাস্থেটিস্ট। তাই ছেলেকেও ডাক্তার বানানোর চিন্তা তাদের সেই কবে থেকে৷ কিন্তু ছেলের নাকি ওইসবে আগ্রহ নেই৷ সাহিত্যই টানে তাঁকে৷ তাই জোর করে বসানো হয় জয়েন্ট এন্ট্রান্সে। মূলত ভাড়াটে পরীক্ষার্থী বসিয়েই ছেলেকে পাশ করানোর পরিকল্পনা নেন৷ কিন্তু কে জানত ওই ভাড়াটে যে একেবারে অসমের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করাবে! আবার ছেলেও তার বন্ধুর সঙ্গে এ নিয়ে গল্প করবে আর সেই কল রেকর্ডিং ফাঁস হয়ে যাবে!

Pic Credit:Pratidin Time

ওই রেকর্ডিঙেই ছেলেকে বলতে শোনা যায়, বাবা ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে ভুতুড়ে পরীক্ষার্থী বসিয়েছিলেন। সেই ভুতুড়ে পরীক্ষার্থীই আমার নামে ৯৯.৮ শতাংশ নম্বর এনে দিয়েছে। এর জেরে বাবা জ্যোতির্ময় দাস ও ছেলে নিল এখন পুলিশের হেফাজতে। পুলিশের জেরায় নীল সব স্বীকার করে নিয়েছে৷ ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে মাধ্যমিক ও ৮৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা নীল নক্ষত্র জানায়, সে বরাবর কলা বিভাগে পড়তে চেয়েছিল। কিন্তু বাবা-মায়ের তীব্র চাপের ফলেই তাঁকে বিজ্ঞান পড়তে হয়েছে৷ তাদের চাপেই সে জয়েন্টে বসার জন্য রাজি হয়েছিল।

জেরায় জানা গিয়েছে, কোভিডপর্বে অনলাইন পরীক্ষায় ভুতুড়ে পরীক্ষার্থীকে দিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানোর ক্ষেত্রে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের দুই কর্মী হেমেন্দ্রনাথ শর্মা ও প্রাঞ্জল কলিতা জড়িত। তাদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধরা হয়েছে পরিদর্শককেও। ধৃত পাঁচজনকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। কামরূপ মেট্রোর অতিরিক্ত ডিসিপি সুপ্রতিভলাল বরুয়ার নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তদল গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নেমেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker