Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কৃষক আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে শিলচরে বাম সংগঠনগুলির মিছিল, সভা
ওয়েটুবরাক, ২৬ নভেম্বর : কৃষক আন্দোলনের প্রথম বর্ষপূর্তি ও কৃষি আইন প্রত্যাহারের প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পরিপেক্ষিতে আজ শুক্রবার শিলচরের বামপন্থী শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র, যুব, মহিলা সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয় বড়সড় গণ মিছিল। বেলা সাড়ে এগারোটায় শিলচরের নরসিংটোলা ময়দান থেকে সারা ভারত কৃষক সভা, সারা ভারত কিষান ক্ষেতমজদুর সংগঠন, আসাম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়ন, এ আই ইউ টি ইউ সি, এ আই সি সি টি ইউ, এ আই টি ইউ সি, সি আই টি ইউ, টি ইউ সি সি, ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি, টি ইউ সি সি (কাছাড়), ই ডব্লিউ টি সি সি, এ আই ডি এস ও, এ আই ডি ওয়াই ও, এ আই ওয়াই এল, ডি ওয়াই এফ আই, এ আই এস বি, এন টি ইউ আই, এস এফ আই, এন আই এস এ সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা মিছিল করে নাজিরপট্টি, প্রেমতলা, হাসপাতাল রোড হয়ে রাঙ্গিরখাড়ির ভাষা শহিদ বেদীর পাদদেশে জড়ো হয়। মিছিলে যোগদানকারী বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা
কৃষি আইন বাতিলের ঘোষণা সংসদে বিল প্রত্যাহারের মাধ্যমে দ্রুত কার্যকর করা, বিদ্যুৎ বিল, ২০২১ বাতিল করা, সারা দেশে কৃষকদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা, কৃষক আন্দোলনের শহিদদের পরিবারের দায়িত্ব সরকারকে বহন করা, কৃষকদের দাবি মতো ফসলের দাম নির্ধারণ করা ইত্যাদি দাবিতে সরব হন। মিছিল শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কৃষক সভার সভাপতি রেজামন্দ আলী ঐতিহাসিক কৃষক আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রীর কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণাকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যায়িত করেন।
সারা ভারত কিষান ক্ষেতমজদুর সংগঠনের জেলা সভাপতি শ্যামদেও কুর্মী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিছু আগেও সংসদে দাঁড়িয়ে কৃষক আন্দোলনের সমর্থকদের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন৷ কিন্তু কৃষকদের আপসহীন সংগ্রামের কাছে শেষ পর্যন্ত তিনি মাথানত করতে বাধ্য হন। তাঁর কথায়, আদানি-আম্বানি সহ কর্পোরেটদের স্বার্থে বর্তমান সরকার কৃষকদের সর্বনাশ করতে গত বছর যে তিনটি আইন প্রণয়ন করেছিল তা প্রত্যাহারের ঘোষণা প্রমাণ করল, একমাত্র গণ আন্দোলনের চাপে দাবি আদায় করা সম্ভব। তিনি কৃষকদের সব দাবি অবিলম্বে কেন্দ্র সরকারকে মেনে নিতে জোরালো দাবি উত্থাপন করেন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন এ আই টি ইউ সি নেতা রফিক আহমেদ, আসাম মজুরি শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষে মৃণাল কান্তি সোম, এ আই সি সি টি ইউ এর পক্ষে আতরজান বেগম লস্কর, ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনি’র পক্ষে অরিন্দম দেব, টি ইউ সি সি এর পক্ষে মিহির নন্দী প্রমুখ।