Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কীর্তনাশ্রয়ের নগর কীর্তন এ বারও পরিক্রমা করল শিলচর
ওয়ে টু বরাক, ১৯ জানুয়ারি : প্রতি বছরের মতো এবারও পৌষ সংক্রান্তির সকালে শিলচর কীর্তনাশ্রয়ের আয়োজনে নরসিংটোলা মাঠ থেকে এক নগর সংকীর্তন শহর পরিক্রমা করে। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর শ্রীখোল বাদনের এক অপূর্ব প্রতিকৃতি সহ সংস্থার ব্যানার নিয়ে সকাল ৮টা নাগাদ এই নগর কীর্তন বের করা হয়।
নরসিংটোলা মাঠ থেকে বের হয়ে ক্রমে গান্ধীবাগ, সেণ্ট্রাল রোড, প্রেমতলা, হাসপাতাল রোড পয়েণ্ট, অম্বিকাপট্টি চৌরঙ্গী হয়ে এই নগর কীর্তন ফের নরসিংটোলা মাঠে ফিরে আসে।নগর কীর্তন চলাকালীন বিভিন্ন বাড়ি থেকে ফলমূল, নকুল বাতাসা দিয়ে লুট দেন মানুষ।চিরাচরিত পদ কীর্তন “গৌর চলছে ব্রজ নগরে” গানটি গেয়ে নগর কীর্তনে হাঁটলেন কীর্তন প্রেমীরা।
উল্লেখ্য, সনাতন ধর্মানুসারে মকর সংক্রান্তির দিনে নগর সংকীর্তনের এক বিশাল রীতি রয়েছে। এ কথা জানিয়ে কীর্তনাশ্রয়ের কর্ণধার তথা সভাপতি সমরবিজয় চক্রবর্তী বলেছেন, শহুরে ও প্রান্তিকের সমন্বয় সাধন করা আমাদের লক্ষ্য। কীর্তনের মাধ্যমে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু কুসংস্কার দূর করে মানুষের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করেছেন। এতে শুধু বাংলা নয়, ভারতের নানা অঞ্চলের সংস্কৃতির গতিপথ প্রভাবিত হয়।কীর্তন সামজিক ঐক্যের অন্যতম মাধ্যম।
তিনি আরও বলেন, কীর্তনকে মধ্যবিত্তরা ধর্মীয় গণ্ডিতে আটকে রেখেছেন। শহুরে মানুষের গলায় কীর্তনের সুর এনে দিয়ে মধ্যবিত্ত ও প্রান্তীয় মানুষের ব্যবধান ঘোচানোর কাজ করছে কীর্তনাশ্রয়। আগামীতে বাঙালির আদি সংস্কৃতি এই কীর্তনকে নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে কীর্তনাশ্রয়ের। সংস্থার সম্পাদক ভাষ্কর দাস বলেন, পৌষ সংক্রান্তির সকালে কীর্তনাশ্রয়ের এই নগর কীর্তন এবার ১১ বছরে পা দিয়েছে।এটি বাঙালির আদি ঐতিহ্য। তাদের সংগঠন যতদিন পারা যায়, এই ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবে।