India & World UpdatesHappeningsBreaking News
কাতারে ৮ ভারতীয় প্রাক্তন নৌকর্তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায়, চাঞ্চল্য
ওয়েটুবরাক, ২৭ অক্টোবর : ভারতীয় নৌসেনার আট কর্মীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে কাতার আদালত। ২০২২ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদের। তাঁদের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে কাতার সরকার।
গত বছর ৩০ অগস্ট কাতারের গুপ্তচর সংস্থা স্টেট সিকিওরিটি ব্যুরো ভারতের ওই আট প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীকে গ্রেফতার করে। সেই সময় কাতারেই একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করছিলেন তাঁরা। কাতারের সশস্ত্রবাহিনীকে প্রশিক্ষণ প্রদানকারী আল দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজি অ্যান্ড কনসালটেন্সি সার্ভিসেস সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। কাতারের উন্নত সাবমেরিনগুলির বিষয়ে তাঁরা ইজরায়েলকে তথ্য পাচার করেন বলে অভিযোগ। কাতারের গোয়েন্দা সংস্থা এও দাবি করে যে, ভারত থেকে কাতারে যে অস্ত্রশস্ত্র আসে সেসব বিষয়েও ইজরায়েলকে গোপন তথ্য পাচার করে ওই নৌসেনা কর্মীরা। আল দাহরা মামলায় তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল বলে জানায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এই ঘটনা ভারত-কাতার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন করে অবনতিতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। এর আগে, ২০১০ সালে চিত্রশিল্পী মকবুল ফিদা হুসেনের ভারতীয় হিন্দু দেবদেবীকে নিয়ে আঁকা ছবিকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই সময় কাতারের রাজপরিবার তাদের দেশের নাগরিকত্ব দিয়ে হুসেনকে সম্মানিত করেছিল। তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল ভারত। তবে, ৮ ভারতীয় প্রাক্তন নৌকর্তার মৃত্যুদণ্ডের রায় সমস্ত কিছুকে ছাপিয়ে গেছে।
যে আট ভারতীয় সেনা কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁরা হলেন – ক্যাপ্টেন নভতেজ সিং গিল, ক্যাপ্টেন বীরেন্দ্র কুমার ভার্মা, ক্যাপ্টেন সৌরভ বশিষ্ট, কমান্ডার অমিত নাগপাল, কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি, কমান্ডার সুগুনাকর পাকালা, কমান্ডার সঞ্জীব গুপ্ত এবং নাবিক রাগেশ। কমান্ডার পূর্ণেন্দু তিওয়ারি আল দাহরার ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতেন। কাতারের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, আল দাহরা গ্লোবাল টেকনোলজি থেকে যাবতীয় তথ্য তাঁরা অন্য দেশে পাচার করছে।
২০২২-এর ৩০ অগস্ট রাতে ওই ৮ জনকে গ্রেফতার করে কাতার পুলিশ। সেপ্টেম্বর মাসে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই ওই ৮ অফিসারকে আইনি সাহায্য দিতে এগিয়ে আসে ভারত সরকার। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে কাতারে গিয়ে ওই ৮ জনের সঙ্গে দেখা করা হয়। আট অফিসারকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণার পর ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, “মৃত্যুদণ্ডের খবর শুনে আমরা স্তম্ভিত। পূর্ণাঙ্গ রায়ের জন্য অপেক্ষা করে আছি। এই আট প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আইনি টিমের সঙ্গেও কথাবার্তা চলছে। সমস্ত আইনি বিতর্কগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সাজাপ্রাপ্ত নৌসেনার প্রাক্তন কর্মীদের সব রকম কনস্যুলার এবং আইনি সহায়তা দেওয়া হয়েছে৷”