Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কাটিগড়া তিন টুকরো, জানানোই হয়নি বিধায়ককে, আন্দোলনমুখর কংগ্রেস
ওয়েটুবরাক, ৩ জানুয়ারিঃ কাটিগড়া বিধানসভা আসনের একাংশ করিমগঞ্জ জেলায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। একাংশ গিয়েছে হাইলাকান্দিতে। কিছুটা রয়েছে পুরনো কাছা়ড় জেলায়। রাজ্য সরকার বিধানসভা আসনটিকে তিন টুকরো করলেও এলাকার বিধায়ক খলিলউদ্দিন মজুমদারকে বিন্দুমা্ত্র জানানোর প্রয়োজন মনে করেনি। এ নিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছে শিলচর জেলা কংগ্রেস কমিটি।
দ্বিতীয়ত, কাছাড়ি রাজার আমল থেকে কাটিগড়ার প্রতিটি মানুষ কাছাড়ের বাসিন্দা। কাছাড়ি রাজা বা রাজপাট না থাকলেও কাছাড় নামটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে মর্যাদা বোধ করতেন ওই এলাকার মানুষ। এখন তাদের করিমগঞ্জ বা হাইলাকান্দিতে নিয়ে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারেও প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত জেলা কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতি তমালকান্তি বণিক বলেন, ডিলিমিটেশন ঘিরে বরাক উপত্যকা জুড়ে ভয়ের পরিবেশ কায়েম হয়েছে। বিশেষ করে কাটিগড়ার মানুষ প্রচণ্ড উদ্বেগে। কারণ এখন বৃহত্তর অংশের মানুষকে নিজের জেলাসদরে যেতে হলে অন্য দুই জেলার ওপর দিয়ে যেতে হবে। আগের চার-পাঁচ কিলোমিটারের জায়গায় এখন চল্লিশ কিলোমিটার ছুটতে হবে।
পূর্ব কাটিগড়ার প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য তথা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত মালাকার জানান, তাঁদের সত্তরটি রাজস্ব গ্রামকে কাটাকুটি করা হয়েছে। তাঁদের এখন ডিসি-এসপির অফিসে যেতে এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগবে। তাই তিনি এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আর্জি জানান। প্রদেশ কংগ্রেসের সহসভাপতি অরুণ দত্ত মজুমদারের কথায়, ওইসব করতে গিয়ে সরকার না জনমত যাচাই করেছে, না রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করেছে। তিন বছর পরে দেশ জুড়ে ডিলিমিটেশন প্রক্রিয়া শুরুু হবে। এর আগে এই ধরনের কাটাকুটি যুক্তিহীন।
ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রদেশ কংগ্রেসের আরেক সহসভাপতি শরিফুজ্জামান লস্কর বলেন, বরাক উপত্যকায় ক্যাবিনেট বৈঠক হওয়া্য় সবাই আশা করেছিলেন, 2023 সালটা বরাকের জন্য ভালো ভালো খবর বয়ে আনবে। কিন্তু বছর শুরু হতে না হতেই মানুষ ভাঙাগড়ার সাক্ষী হচ্ছেন।
এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুজন দত্ত, অতনু ভট্টাচার্য, দীপক দেব, আলি রাজা ওসমানি প্রমুখ। তাঁরা বলেন, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাদের আ্ন্দোলন এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। সোমবার কাটিগড়ায় দল বেঁধে প্রতিবাদ জানানো হয়। এ বার বড় আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত তাঁরা।