Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কাছাড়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (গ্রামীণ) অর্থের অনুজ্ঞাপত্র বন্টন শুরু
ওয়ে টু বরাক, ১৬ ফেব্রুয়ারি : রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে কাছাড় জেলায়ও বৃহস্পতিবার শিলচর গান্ধী ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (গ্রামীণ) এর অধীনে গ্রামীণ অঞ্চলে গৃহ নির্মাণের জন্য কাছাড়ের ১৬২টি গাও পঞ্চায়েত এলাকার মোট ২০ হাজার ৫৭ জন হিতাধিকারীকেল তিনটি কিস্তিতে মোট ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা করে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রথম কিস্তিতে ২২ হাজার ৫০০ টাকা, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কিস্তিতে বাকি অর্থ গ্রামীণ অঞ্চলে গৃহ নির্মাণের জন্য প্রদান করা হবে।
বৃহস্পতিবার শিলচরের গান্ধীভবনে জেলার পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন বিভাগ আয়োজিত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রায় ২০০ হিতাধিকারীদের মধ্যে অনুজ্ঞাপত্র বন্টন করেন প্রধান অতিথি মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সকলের জন্য আবাসগৃহ দর্শনকে বাস্তবায়িত করার জন্য আমাদের রাজ্যটির গ্রামাঞ্চলের গরিব তথা অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর পরিবারগুলিকে আবাস গৃহ সুবিধা প্রদান করার উদ্দেশ্যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা কার্যকরী ভূমিকা পালন করছেন। মন্ত্রী বলেন, ২৫ কোটি পরিবারের মধ্যে সাড়ে তিন কোটি পরিবারকে ইতিমধ্যে কেন্দ্র সরকার গৃহনির্মাণের অর্থ প্রদান করেছে। তিনি ব্লক ও গাঁও পঞ্চায়েত স্তরে গৃহ নির্মাণের এই পুঁজি সঠিকভাবে ব্যবহার করার জন্য সকলের প্রতি আবেদন জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সাংসদ ডা: রাজদীপ রায় তার বক্তব্যে জানান, এই একই সময়ে রাজ্যের সবকয়টি জেলায় এবং গুয়াহাটিতে দুজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ( গ্রামীণ ) এর অধীনে মুখ্যমন্ত্রী একইভাবে এই যোজনার অর্থ প্রদান করছেন যার লাইভ টেলিকাস্ট শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, সবকা সাথ সবকা বিকাশ এর মন্ত্র নিয়ে ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী কার্যকাল শুরু করেছিলেন। স্বচ্ছ অভিযান থেকে শুরু করে সমগ্র দেশের গ্রামীণ এলাকায় প্রায় ১১ কোটি টয়লেট নির্মাণ সহ প্রায় ১০ কোটি গৃহে উজ্জলা প্রকল্পের অধীনে গ্যাস সরবরাহ, জনধন যোজনা এবং আরও বহু প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।
এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী বলেন, অতীতে এই প্রকল্পের অধীনে গৃহনির্মাণের অর্থ পেতে হলে বহু কেলেঙ্কারির খবর পাওয়া যেত, যা এখন নেই। তিনি কোনও কেলেঙ্কারি পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে বলেন । তিনি বলেন, কারো কোনও অভিযোগ থাকলে সপ্তাহের সাতদিন চব্বিশ ঘন্টা তার দুয়ার খোলা রয়েছে, বর্তমান সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন।
অনুষ্ঠানে কাছাড়ের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অমিতাভ রাই, সিইও রঞ্জিত কুমার লস্কর প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে কাছাড়ের জেলাশাসক রোহন কুমার ঝা ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন। এতে অন্যান্যদের মধ্যে জেলা পরিষদ সহকারি সভানেত্রী লাভলি চক্রবর্তী, কাটিগড়ার বিধায়ক প্রতিনিধি এবং মানব সিংহ প্রমূখ অংশ নেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সরোজ দাস।